রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

আরেকটি স্বপ্নপূরণ; পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ১২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩

খরস্রোতা পদ্মা নদীতে নির্মিত সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। যার মাধ্যমে পূরণ হলো আরেকটি স্বপ্ন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়।

এদিন দুপুর ১২টায় একটি গ্যাং কার (পরিদর্শন ট্রেন) ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। এর পর ছয় বগির একটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া রওনা হয়, ট্রেনটি আবার সেতু পার হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশনে ফিরবে। অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ইকবাল হোসেন অপু, নাঈম রাজ্জাক, আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্রায়াল স্পেশাল ট্রেনে প্রথম যাত্রী রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

মঙ্গলবার ( ৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় একটি গ্যাং কার (পরিদর্শন ট্রেন) ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। এর পর ছয় বগির একটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়ায় যাচ্ছে। ট্রেনটি আবার সেতু পার হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশনে ফিরবে।

গত বছরের ২৫ জুন দ্বিতল পদ্মা সেতুর আপার ডেকে (ওপরতলা) যান চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২০ আগস্ট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর লোয়ার ডেকে (নিচতলা) রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ছয় মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্নের লক্ষ্য ছিল। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ সেতুতে স্লিপার ঢালাইয়ের মাধ্যমে ব্যালাস্টলেস (পাথরবিহীন) রেললাইন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে মাওয়া, পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। রেলমন্ত্রী যদিও একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছিলেন-জুনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তবে প্রকল্প সূত্রের ভাষ্য, আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে চলবে ট্রেন।

সরকারের অগ্রাধিকারের পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় চীনের ঋণে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায় কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মূল লাইনসহ ২১৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর-এই তিন ভাগে প্রকল্পের কাজ চলছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭২ শতাংশ এবং মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি প্রায় ৯৩ শতাংশ। ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে কাজ এগিয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজ পরিকল্পনার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। আরও পাঁচ-ছয় মাস লাগতে পারে। এ বছরেই ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলবে। আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত যাবে রেল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর