রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন কমিশন গঠনে আ’লীগের ৪ প্রস্তাব; সংসদের চলতি অধিবেশনে আইন পাসের চেষ্টা: কাদের

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৯৭ বার
আপডেট : সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২

রাষ্ট্রপতির সংলাপে নির্বাচন কমিশন গঠনসহ চার প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন সংসদের চলমান অধিবেশনে পাস হওয়ার সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের পর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুহাম্মদ ফারুক খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপে অংশ নেন দলটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে নির্বাচন কমিশন গঠনে দলীয় প্রস্তাব তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগের প্রস্তাব

(ক) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদান করবেন।

(খ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করবেন, সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দান করবেন।

(গ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান সাপেক্ষে একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের কোনও আইন না থাকায় সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারগণের নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধান ব্যতিরেকে অন্য কোনও আইন প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সাংবিধানিক চেতনা সমুন্নত রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের যোগ্যতা-অযোগ্যতা এবং তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ধারণের লক্ষ্যেই মূলত এই আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে যে কোনও আইন হবে সাংবিধানিক বিধান মতে একটি বিশেষ ধরনের আইন। এই বিশেষ ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনও সুনির্দিষ্ট উদাহরণ ছিল না। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে একটি রাজনৈতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করতে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সাংবিধানিক রীতি ও রাজনৈতিক অনুশীলন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সাংবিধানিক রীতিটি হলো ‘সার্চ কমিটি’/‘অনুসন্ধান কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে সকলের মতামত ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন। এই ব্যবস্থাটি এখন পর্যন্ত দুবার (২০১২ এবং ২০১৭) অনুশীলন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দুবারই দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এই অনুশীলনে অংশগ্রহণ করেছেন। এমতাবস্থায়, এই রীতিটির আলোকে এবং এই প্রক্রিয়ালব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের আলোকে একটি আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।

(ঘ) সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে সকল নির্বাচনে অধিকতর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করার পরে সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে ভিন্ন কোনও প্রক্রিয়া নেই। অথবা আইন পাস আমাদের কাছে কোনও ম্যাজিকের তান নয়। আইন আইনের গতিতেই হবে। যে প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের আইন পাস হয়, এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটার কারণ নেই। তিনি বলেন, যেহেতু এটা জনদাবি, সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। ৫০ বছর আগের আইনে যেহেতু চলছে, জাতীয় স্বার্থে একটা আইন পাস হওয়ার দরকার ছিল, আগে হওয়ার কথা ছিল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ৫০ বছরে হয়নি, আমরা প্রথম দ্বিতীয়বার পারি নি, তৃতীয়বারের আগেও হয়ে যেতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর