নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় সব ক্ষেত্রেই এখন হাহাকার। দেশটির দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের অতি জরুরি কোনও চাহিদাই এখন আর পূরণ হচ্ছে না। দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে মারাডানা শহরের রেলওয়ে ডিপার্টমেন্ট থেকে টিকিট চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যার উত্তরে সোমবার শ্রীলঙ্কা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার্স ইউনিয়নের (এসএলআরএসএমইউ) পক্ষ থেকে বলা হয়, চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের টিকিট পেতে দেরি হবে।
এর কারণ ব্যাখ্যা তারা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং বাসের ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কায় লোকজন যাতায়াতের জন্য ট্রেন বেছে নিচ্ছেন। ফলে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেড়ে গেছে এবং এরই মধ্যে প্রচুর পরিমাণে টিকিট ইস্যু করা হয়েছে। যদিও প্রচুর পরিমাণ টিকিট ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু আমরা রেলওয়ে অধিদপ্তরের প্রশাসনকে বর্তমানে টিকিটের যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সমাধানে তৎপর হতে দেখছি না। এমনকী সরকারি প্রিন্টার দিয়ে ট্রেনের টিকিট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ শুধুমাত্র ট্রেনের টিকিট ছাপাতে প্রতিটি রেলওয়ে সদর দপ্তরে প্রিন্টিং মেশিন স্থাপন করা উচিত।
শ্রীলঙ্কায় ট্রেনের টিকিট ছাপাতে যেসব উপকরণের প্রয়োজন পড়ে তার সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশটির রেলওয়ে বিভাগকে হয়ত ভবিষ্যতে টিকিট ছাপাতে এবং ছাপার উপকরণের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে। পরামর্শ হিসাবে খরচ কমানোর কিছু উপায় বলে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার্স ইউনিয়নের নেতারা। তারা বলেছেন, একটা উপায় হতে পারে ব্যবহার করা টিকিট পুনরায় ব্যবহার করা। আগেও এমনটা করা হয়েছিল। এছাড়া ইলেট্রনিক টিকিট ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমেও টিকিট ছাপার খরচ কমানো সম্ভব। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।