রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ২৪ বার
আপডেট : বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়াল দুঃশাসন, লুণ্ঠন, অগ্নিসন্ত্রাসের চিত্রের পাশাপাশি বর্তমান সরকারের গত ১৪ বছরের সকল অর্জন ও অগ্রগতির চিত্র দেশের প্রতিটি ভোটারের ঘরে ঘরে তুলে ধরার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গত ১৪ বছরে দেশের চিত্রই পাল্টে গেছে। সরকারের ১৪ বছরের উন্নয়ন, অর্জন ও সফলতাগুলো জনগণের ঘরে ঘরে তুলে ধরতে পারলে আগামী নির্বাচনে আমাদের ভোটের কোনো সমস্যা হবে না, কোনো অপশক্তি ক্ষমতাও কেড়ে নিতে পারবে না। ওই দুর্বৃত্তদের (বিএনপি) হাতে ক্ষমতা গেলে আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি তাও ধ্বংস করে দেবে। দেশবাসীকেও এদের সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে যাতে ওই দুর্বৃত্তরা আবারও যেন দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, আমরা খেলতে দেব না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদের। বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপিকা ড. সাদেকা হালিম, নায়ক ফেরদৌস আহমেদ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, ঢাকা মহনগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য কবি তারিক সুজাত।

প্রধানমন্ত্রী অবৈধ ক্ষমতাদখলকারীর হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপিকেও ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে বলেন, দেশবাসীকেও বলব এই অবৈধ দলকে ‘অবৈধ’ হিসেবে দেখে প্রত্যাখ্যান করুন। এখন দেখা যায় দেশে-বিদেশে গিয়ে ওরা (বিএনপি) হাহাকার করে বেড়ায়। মনে হচ্ছে বাইরে থেকে কেউ এসে একেবারে নাগরদোলায় করে তাদের (বিএনপি) ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, সেই স্বপ্নে তারা বিভোর। হয়তো এক সময় তারা সেটা করতে পেরেছে দালালি করে, কিন্তু এখন আর সেই দালালি করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই, পারবে না। কারণ বাংলাদেশের এখন অনেক সচেতন, দেশের মানুষ তাদের নিজের দেশ সম্পর্কে এখন অনেক জানে। যারা (বিএনপি) ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে দেশের স্বার্থ বিদেশীদের কাছে বিকিয়ে দেয়, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে তারা আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কীভাবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোটের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের নামে তারা সরকারের উৎখাতের হুমকিসহ নানা কথা বলছে। আর দেশের কিছু মানুষ আছে যারা অসময়ে নিরব থাকে, সুসময়ে সরব হয়। অথচ এই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে আমরা রাজপথে একটা মিছিল-মিটিং করতে পারিনি। তাদের ছাত্রদল-যুবদল ক্যাডার ও পুলিশের হাতে কী ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের। বিএনপি সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর যা অত্যাচার করেছে, আওয়ামী লীগ সরকার তার কিছুই করেনি।

ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিশোধ নিতে যায়নি উল্লেখ করে দলটির প্রধান বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। এখন তারা আন্দোলন করবে, সরকার উৎখাত করবে। অনেক কিছু বলে বেড়াচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি খুব হম্বিতম্বি করেছে। তারা মিছিল-মিটিংয়ে করেছে আমরা বাধা দেইনি। কিন্তু বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ তো একটা মিছিল-মিটিংও করতে পারেনি। অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন করেছে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। তার পরও আমরা কিন্তু প্রতিশোধ নিতে যাইনি।  বিএনপি-জামায়াত আমাদের ওপর যা করেছে, আমরা তার কিছুই করিনি। আমরা কোনো প্রতিশোধ নিতে যায়নি, আমরা দেশের উন্নয়নের দিকেই নজর দিয়েছি। দেশের জনগণের জন্য কাজ করেছি বলেই গত ১৪ বছরে পুরো দেশের চেহারাই পাল্টে গেছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের ভয়াল অগ্নিসন্ত্রাসের কথা কিভাবে ভুলবে? ২০০৮ সালের পর আমরা টানা ক্ষমতায় এসেছি, আমরা তো জনগণের জন্য কাজ করেছি- এটা তো কেউ আর অস্বীকার করতে পারবে না, আজকে বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে গেছে।
বিএনপি-জামায়াতের ভয়াল তা-বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে তারা বাস-ট্রাক-রেল-লঞ্চ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সর্বত্র আগুন দিয়ে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। একজন মানুষ কিভাবে আরেকজন মানুষকে এভাবে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে? এই দৃষ্টান্ত বিএনপিই এদেশে দেখিয়েছে। যারা এভাবে আগুন নিয়ে খেলেছে, এখন যদি ভুক্তভোগী দেশের মানুষ আগুন নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তখন বিএনপির কী হবে সেটা কী তারা কখনো ভেবে দেখেছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অগ্নিসন্ত্রাসী, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদী ও অর্থপাচারকারীদের ব্যাপারে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে। দলের নেতাকর্মীদেরও বলব- তাদের (বিএনপি-জামায়াত) এই ভয়াল অগ্নিসন্ত্রাস, কুকর্মগুলো দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। ক্ষমতায় থাকতে তারা দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। আমরা খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা ফেরত এনেছি। এদের আরও অনেক অর্থ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক জব্দ করেছে, সেসব ফেরত আনার চেষ্টা করছি। যারা ক্ষমতায় থেকে এসব কুকর্মগুলো করেছে, দেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে তারা (বিএনপি) আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কীভাবে।
বিএনপিকে ‘অবৈধ’ রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে। আর বিএনপির জন্মই তো অবৈধভাবে সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে। যার (জিয়া) অবৈধ ক্ষমতা দখলকে সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। তবে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে সৃষ্ট রাজনৈতিক দলও তো অবৈধ। দেশবাসীকেও অনুরোধ জানাব, বিএনপিকে অবৈধ দল হিসেবেই দেখে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে চলছে। বাংলাদেশকে আর কেউ ভিক্ষুকের জাতি কিংবা হাত পেতে চলা জাতি হিসেবে মনে করে না। বরং সারাবিশ্বই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে মনে করে। আমরা যখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি তখন বিএনপির নেতারা বলেছিলেন- খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ভালো না, বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। কারণ বিএনপির নীতিই হচ্ছে দেশের মানুষকে ভিক্ষুকের জাতি দেখিয়ে বিদেশের কাছে হাত পেতে চলবে। আর আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে তোলা, সেটাই আমরা করতে পেরেছি। আমাদের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেই আরও এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেড় গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন। আর আমাদের সরকারের সময় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। স্বাধীনতার পর দেশী-বিদেশী স্বাধীনতাবিরোধী, স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করে না তারা ভেবেছিল বাংলাদেশ কোনদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না, উন্নতি করতে পারবে না। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরেই বঙ্গবন্ধু দেশকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করেন, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী শক্রদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। নানা অপপ্রচার, অরাজকতা করেই যখন দেশের উন্নয়ন ঠেকাতে পারেনি, তখনই তারা ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটালো।
’৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, ভাষার আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ এবং জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করার ইতিহাস সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মানুষের সকল অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু সব সময় ছিলেন সোচ্চার। অথচ সেই ভাষা আন্দোলনের সংগ্রাম থেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন রিপোর্ট নিয়ে ১৮ খন্ডের বই প্রকাশের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের নজীর নেই যে একজন নেতার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বই আকারে প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অসীম অবদানের কথা লেখা রয়েছে।
’৭৫ পরবর্তী ইতিহাস বিকৃতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা পাকিস্তানে। সে ভালো করেই বাংলা বলতে পারতো না। সে কারণেই ইতিহাস বিকৃতি করে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু সেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেস্ক কর্তৃক গত আড়াই হাজার বছরে বিশ্বের সকল সামরিক-আসামরিক নেতার ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি যুগ যুগ ধরে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ শুনেছে এখনো শুনছে। বিশ্বের আর কোনো নেতার এমন নজির নেই।
প্রধানমন্ত্রী মাতৃভাষার চর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইদানিং বাংলার সঙ্গে ইংলিশ মিলিয়ে বিজাতীয় ভাষার মতো কথা বলার সমালোচনা করে বলেন, যে জাতি ভাষার জন্য রক্ত দেয়, তাদের ইংরেজি অ্যাকসেন্টে (উচ্চারণ) বাংলা বলার দৈন্য ঠিক নয়। বিশ্বটাই সবার একটা আবাসস্থল। সেখানে অন্য ভাষাও শেখা যাবে। তবে মাতৃভাষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আমাদের মাছে একটা প্রচলন দেখি, ইংরেজি অ্যাকসেন্টে বাংলা ভাষায় কথা বলার প্রবণতা। আমি মনে করি, এটা জঘন্য। তবে আঞ্চলিক টানা দোষের নয়, এটা থাকবেই। পৃথিবীর সব জায়গায় আছে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোথা থেকে এটা এলো, তা জানি না। ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াতে গিয়ে মাতৃভাষার আসল ধ্বনিটা পরিবর্তন করে বিজাতীয় ভাষার ধ্বনির সঙ্গে মিলিয়ে বাংলাটাকে ইংরেজি অ্যাকসেন্টে (উচ্চারণ) বলা হচ্ছে, এটা কেন? নিজের এলাকার বা নিজের ভাষাটা কেন বলব না? যে জাতি ভাষার জন্য রক্ত দেয়, তাদের দৈন্য ঠিক নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর