রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

দুইদিন পরই মরুর দেশে বিশ্বকাপ উৎসবের অপেক্ষা

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৩৪ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২

ফুটবল মহোৎসব তো আর এমনি এমনি বলা হয় না। চার বছর পর ৩২টি দেশকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই মহাযজ্ঞ। আবেগও জড়িয়ে থাকে তাতে। তাই বিশ্বকাপ ফুটবল মানে উৎসবের আরেক নাম। উৎসবে শামিল হতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো মরুর বুকে আসতে শুরু করেছে। দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান্দরে তাই বাড়তি ব্যস্ততা দেখা গেলো। সেখানে নেমেই চোখে পড়লো বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বকাপকে ঘিরে নানা ব্র্যান্ডিং। হবেই না কেন? বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয় বড় উৎসবকে যে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষা।

দুইদিন পরই ১১ হাজার ৫৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। সবাই উৎসবের অপেক্ষায় থাকলেও কোথায় যেন একটু সুর কেটে যাচ্ছে মনে হলো। সমর্থকদের ভিড়টা সেভাবে চোখে পড়লো কমই! যদিও কাল রাতে কিছু সমর্থকদের হই-হুল্লোড় করে বিমানবন্দর ছাড়তে দেখা গেছে। যদিও বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে দুটি দিন এখনও বাকি। তাই হয়তো বড়রকমের জমায়েতটা হতে দেরি।মরুর দেশে বিশ্বকাপ উৎসবের অপেক্ষাআরেকটি বিষয়ও এখানে উল্লেখযোগ্য। কাতার প্রায় ২৯ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ হলেও এখানে অভিবাসী কিন্তু কম নয়। যার বড়অংশ জুড়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। তার পরেও কাতার কিন্তু তাদের সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

২৯দিন ব্যাপী ফুটবল মহোৎসবের জন্য নানান স্তরের সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানানোর অপেক্ষায় ৮টি স্টেডিয়াম। অবশ্য যারা নিরলস পরিশ্রম করে কাতারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে বড়ধরণের ক্ষোভও রয়েছে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ৮টি স্টেডিয়াম নির্মাণের পেছনে যাদের অবদান অনেক। সেই শ্রমিকদেরই কিনা দোহা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে! তাই কাতারিদের কাছে এই বিশ্বকাপ নিয়ে প্রবল উন্মাদনা থাকলেও প্রবাসীদের অনেকের কাছে তা কিছুটা বিষাদের! এমনটা দাবি করে চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আসা রফিকুল ইসলাম ট্যাক্সি চালাতে চালাতে বললেন, ‘কাতারে বিশ্বকাপ নিয়ে কাতারিদের অনেক উত্তেজনা। প্রবল আগ্রহ। কিন্তু আমাদের অনেকেরই মন বেশ খারাপ। দোহা থেকে কোনও শ্রমিককেই এখানে রাখা হয়নি। আমাদের দোহার বাইরে গিয়ে থাকতে বলা হয়েছে। অথচ আমাদের অনেকে বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণে সরাসরি যুক্ত ছিল।

অবস্থা এমন যে দোহায় ট্যাক্সি চালিয়ে রাতে আবার শহরের বাইরে গিয়ে রফিকুলদের থাকতে হচ্ছে। তার পরেও বিশ্বকাপ ফুটবলের শহরে আছেন-এটাই তাদের কাছে এখন বড় বিষয়। মেসি-নেইমার-রোনালদোদের লড়াই যে এই ৮টি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে দুই হট ফেভারিট দল নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রীতি ম্যাচ খেলে ৯০০ কেজি মাংস নিয়ে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দোহায় পা রেখেছে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল আসবে বিশ্বকাপ শুরুরর আগের দিন।

বাকিরাও আসতে শুরু করেছে শীতকালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আমেজ গায়ে মাখতে। তবে শীতকাল চলে এলেও দোহার তাপমাত্রায় উষ্ণতার ছোঁয়া কম নয়। দিনের বেলাতে প্রায় ৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে! রাতে অবশ্য সেটি ২৮ ডিগ্রিতে নেমে আসে। অন্যদের মতো পুরো বিশ্ব থেকে মিডিয়া কর্মীদের ভিড়ও বাড়ছে হু হু করে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা আসছেন। আর এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে মিডিয়া সেন্টারে প্রতিটি স্তরে স্বাগতিকদের অকুণ্ঠ সমর্থন তো থাকছেই। সাহায্যে থাকছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও। আসলে ফুটবল মহাযজ্ঞের সব আয়োজনই যে সম্পন্ন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর