রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

তুরস্কে ইউক্রেন-রাশিয়ার বৈঠক কাল, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আশা এরদোয়ানের

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৬৮ বার
আপডেট : বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২

তুরস্কে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার বৈঠক নিয়ে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তার আশা, এ বৈঠক একটি ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ দ্বার উন্মোচন করবে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছেন দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। মধ্যস্থতাকারী দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এতে অংশ নেবেন।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, বুধবার রাজধানী আঙ্কারার পার্লামেন্ট ভবনে দেশটির ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) এক সভায় দেওয়া ভাষণে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটানোকে তুরস্ক তার দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করে। এই বিষয়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আঙ্কারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ম, উৎপত্তি বা চামড়ার রঙের ভিত্তিতে নিপীড়িত মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক মানসিকতার সঙ্গে মানবতা বা সভ্যতার কোনও সম্পর্ক নেই। তুরস্ক কখনও ভাষা, ধর্ম বা চামড়ার রঙের ভিত্তিতে যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষের ওপর লেবেল লাগিয়ে দেয়নি।

ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশেরই মিত্র হিসেবে পরিচিত ন্যাটো জোটের সদস্য তুরস্ক। কৃষ্ণ সাগরে উভয় দেশের সঙ্গেই তুরস্কের পানিসীমা রয়েছে। আঙ্কারা নিজে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে। অন্যদিকে তুরস্কের কাছ থেকে কেনা বায়রাকতার টিবিটু ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইউক্রেন।

চলমান যুদ্ধে খোলাখুলি ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে আঙ্কারা। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরের সংযোগ স্থাপনকারী দুই তুর্কি প্রণালিতে যুদ্ধজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করেছে এরদোয়ান প্রশাসন। এর অর্থ হলো, তুরস্ক তার পানিসীমা ব্যবহার করে রুশ যুদ্ধজাহাজকে কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেন জানিয়েছে, দেশটিকে আরও ড্রোন সরবরাহ করবে তুরস্ক। তবে কিয়েভের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দিলেও এখন পর্যন্ত মস্কোর বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি আঙ্কারা। এরদোয়ান বলেছেন, তার দেশের পক্ষে রাশিয়া বা ইউক্রেন কাউকেই ত্যাগ করা সম্ভব নয়। দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার এবং শান্তি আলোচনা আয়োজনেরও প্রস্তাব দিয়েছে আঙ্কারা। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দেশটিতে বৈঠকে বসছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর