২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার ভাষণ শেষ হতেই শুরু হয় গ্রেনেড হামলা। দেড় মিনিটে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে চলে যান তারেক রহমান।

এদিকে ২১ আগস্ট হামলা মামলা ছাড়াও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি এবং অর্থপাচারের মামলায়ও দণ্ডিত তিনি। তাকে দেশে ফিরিয়ে সাজা কার্যকরে উদ্যোগী সরকার। এ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১ আগস্টের হামলা অত্যন্ত নির্মম। এর মাধ্যমে একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তার সরকারের সময় যেহেতু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হয়েছে, তাই সব হত্যা মামলারই বিচার হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সুতরাং এ মামলার বিচার কার্যকরেও সরকার তৎপর। তারেক রহমানসহ যাদের সাজা দেওয়া হয়েছে তাদের বিচার অবশ্যই কার্যকর হবে। তাকে দেশে ফেরাতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যা যা করা প্রয়োজন করা হচ্ছে। কোনও সহযোগিতা না থাকলে তো আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতাম না। যেহেতু আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, সেহেতু বোঝা যায়, সহযোগিতা পাচ্ছি।  এ মামলার বিচার দেরিতে শুরু হয়েছিল। মামলাকে ঘিরে জজ মিয়া নাটকের অবতারণাও ঘটানো হয়েছিল। তবে বিচারিক আদালত রায় দিয়েছেন। এখন মামলাটি হাইকোর্টে পেন্ডিং আছে। সরকারও চায় বিচার দ্রুত শেষ হোক। অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। শিগগিরই শুনানি শুরু হবে।