রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিকল্পনা তালেবানের

রিপোর্টার / ১২৩ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১

আফগানিস্তানে পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসনকে উৎখাত করার পর একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে তালেবানরা। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির একটি সূত্র এমনটাই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে।

সূত্রটি আরও জানায়, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে দেশের সব জাতি ও উপজাতির প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করতে চায় তারা। এজন্য এক ডজন নাম বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ সেই সরকার গঠিত হবে তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

আফগানিস্তানে সহিংসতার মূলে রয়েছে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। দেশটির বর্তমান মোট জনসংখ্যা প্রায় চার কোটি। তবে সেখানে কোনো একক গোষ্ঠীর পক্ষে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

পশতুনরা আফগানিস্তানের বৃহত্তম জাতিগত গোষ্ঠী, যা জনসংখ্যার ৪২ শতাংশেরও বেশি। প্রধানত সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায় পশতু ভাষায় কথা বলে। তারা ১৮ শতকের পর থেকে দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে।

এদিকে তালেবান আল জাজিরাকে জানিয়েছে, একজন ‘আমির-উল-মুমিনিন’-এর নেতৃত্বে ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিচালিত হবে।

প্রথমে একটি ‘সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পরিষদ’ গঠন করা হবে। তারাই আগামীর সরকারের গঠন এবং মন্ত্রীদের মনোনীত করার বিষয়টি দেখভাল করবেন।

সরকার গঠনের জন্য তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদার বর্তমানে রাজধানী কাবুলে আছেন। আর তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এ বিষয়ে প্রাথমিক পরামর্শের প্রয়োজনে কান্দাহার থেকে কাবুলে আসা-যাওয়া করছেন।

নতুন সরকারে তাজিক এবং উজবেক উপজাতীয় নেতাদের ছেলেদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তালেবান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও হাই কাউন্সিল অব ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের সাবেক প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহসহ পুরনো সরকারের কিছু সদস্যকে তালেবানের এই নতুন সরকারে রাখার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগানিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিস্তারিত বিবরণ এমন এক সময় এসেছে, যখন বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই জোড়া আত্মঘাতী হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩ মার্কিন সেনা ও ২৮ তালেবান সদস্যসহ কমপক্ষে ১১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত আরও দেড় শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

এদিকে জঙ্গি সংগঠন আইএস খোরাসান এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর