শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য একথা বলেন।
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সাথে শুধু জিয়াউর রহমান কেন, যারাই যুদ্ধ করেছেন তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া যুদ্ধাপরাধের শামিল। আবার যুদ্ধাপরাধের ট্রাইব্যুনাল চলবে। আমরা চালাব, আমরা চালাব।”
গয়েশ্বর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছেন তাদেরকে ৩০ বছর পর খুঁজে পাওয়া যাবে না। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা নিজ কানে শুনছেন এই লোকগুলো ৩০ বছর পর পৃথিবীতে থাকবেন না।
“কিন্তু জাতি লালন করবে সত্য ইতিহাসগুলো। সেই লালনের ক্ষেত্রটা তৈরি করা করা আপনার-আমার দরকার।”
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, তাকে ‘পল্টনের নায়ক’ না বানিয়ে ‘রাষ্ট্রের নায়ক’ বানাতে হবে। সেটা অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
“আমি এক-এগারোর কথা বলতে চাই না। কারণ ১/১১ এর সাথে যারা জড়িত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আমার দলের, তারাই নেতৃত্ব করেন। সেখানে বইলা আমি দলে বিভাজন ফালাই কেমনে- আমি এটা চাই না।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত রহমানের তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা বিলকিছ ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলো্চনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমীন, মহানগর দক্ষিনের ফরিদ উদ্দিন, মতস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের জনতার রফিক, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়, মুসা ফরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।