রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

জিএম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না: রাঙ্গা

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৪৬ বার
আপডেট : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২

আসন্ন অধিবেশনে জাতীয় সংসদে জি এম কাদেরের উপনেতার আসনটি সরে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘পার্টি অফিস থেকে জিএম কাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তার চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’

রবিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে জাতীয় পার্টি (রওশনপন্থি) আয়োজিত উপজেলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসএম আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, এম এ গোফরান, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, কাজী মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেনসহ অনেকে।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আসন্ন অধিবেশনে সংসদে জিএম কাদেরের উপনেতার আসনটি সরে যাবে। বেগম রওশন এরশাদের চেয়ারের পাশে তিনি আর বসতে পারবেন না। রওশন এরশাদের পাশের চেয়ারে বসবেন অন্য কেউ। সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। জিএম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না। তিনি বলেন, আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে। সেখান থেকে বিদায় নেবে জিএম কাদের। জিএম কাদেরের সঙ্গে তিন জন এমপি ছাড়া আর কেউ নেই। আগামী ২৬ নভেম্বর রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় কাউন্সিলের আগেই এমপিরা কোন দিকে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ বিষয় নিয়ে সংশয় থাকবেন না। সময় মতো আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো। বনানী ও কাকরাইল অফিস আমাদের হবে। জিএম কাদেরকে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।

বিরোধী দলের এই চিফ হুইপ বলেন, জাতীয় পার্টির অবৈধ চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদের আছেন। তিনি জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৫ কোটি করে টাকা নিচ্ছেন। আবার বিএনপির জোটে যাবেন, সে জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবেন, সেখান থেকেও টাকা নিচ্ছেন। দুই নৌকায় পা রেখে রাজনীতি হয় না। জিএম কাদের তা-ই করছেন। আমি প্রশ্ন করতে চাই, জিএম কাদের সাহেব, আপনার কত টাকা প্রয়োজন? সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। টাকাগুলো কী করেছেন?

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জিএম কাদের কখনও রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের একজন কর্মচারী। সেখান থেকে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে দুর্নীতির দায়ে তার চাকরি চলে যায়। অথচ তিনি নিজেকে ক্লিন ইমেজ হিসেবে দাবি করেন। নামের পেছনে জনবন্ধু লেখেন, তার নির্বাচনি এলাকায় জনশত্রু হিসেবে পরিচিত।

কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, জিএম কাদেরের চারপাশে রয়েছে চাটুকারের দল। তারা জাতীয় পার্টিকে বাণিজ্যের প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছেন। এই কালো থাবা থেকে জাতীয় পার্টিকে মুক্ত করতে হবে। জাপার দলীয় গঠনতন্ত্রে যেসব কালোধারা রয়েছে, তা সংশোধন করা হবে আগামী জাতীয় কাউন্সিলে। দল থেকে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের দলে ফিরিয়ে আনা হবে।

সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা বলেন, রওশন এরশাদ দল সংস্কার করার জন্য জাতীয় কাউন্সিল ডেকেছেন। আর জিএম কাদের জাতীয় পার্টিকে তার পিতৃ সম্পত্তি পেয়েছে বলে মনে করেন। আসলে এটি তার পিতৃ সম্পত্তি নয়। এটি এরশাদের সম্পত্তি। ভাইয়ের সম্পত্তি কখনও ভাই পায় না। এরশাদ সাহেবের সম্পত্তি পাবেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর