রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

জাহাজে হজযাত্রী: পর্যটন খাতকে আকর্ষণীয় করবে

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৩০ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

জাহাজে করে হজযাত্রী প্রেরণ বিশ্বে দেশীয় পর্যটন খাতকে আকর্ষণীয় করবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের হোটেল পেনিনসুলায় পর্যটন বিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল, এয়ার এস্ট্রার প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ, ইউএস বাংলার ম্যানেজার কামরুল ইসলাম, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের মার্কেটিং প্রধান অ্যানা মে ডিয়াল বক্তব্য দেন। তিন দিনব্যাপী মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে নতুন এয়ারলাইন এয়ার এস্ট্রা। মেলায় বিদেশি ৬টি প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টি স্টল রয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। আগামী ৭ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে।

প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের দেশে রয়েছে প্রায় সতেরশ’ পর্যটন স্পট। রয়েছে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ পর্যটন পণ্য। আরো রয়েছে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, বহুমাত্রিক জীবনাচার ও উষ্ণ আতিথেয়েতা। কিন্তু এসব বিষয় দেশি বিদেশি কমই তুলে ধরা হয়। ফলে ক্রমবর্ধমান পর্যটন শিল্প যে হারে বাড়ার কথা, তা কম হচ্ছে। তাই পাহাড় সমতল বনভূমি সাগর মহাসাগর উপত্যকা বেষ্টিত দর্শনীয় স্থানগুলোর বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য সব মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিডের কারণে পর্যটন শিল্প কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও বর্তমানে এ খাতের উন্নয়নে কাজ চলছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে ‘ট্যুরিজম রিকভারি প্ল্যান’ ও এ সংশ্লিষ্ট ২০টি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত পর্যটন শিল্পে কী পরিমাণ কর্মসংস্থান হবে তা নিরূপণের জন্য ন্যাশনাল ট্যুরিজম হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ২০১০ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করা হয়েছে। সরকারের এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে ২০১৯ সালের ১ কোটি পর্যটক থেকে ২০২২ সালে বেড়ে তা ২ কোটিরও বেশি হয়েছে।

মাহবুব আলী বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে দেশব্যাপী পরিচালিত অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের কক্সবাজারের সাবরাং নাফ ও সোনাদিয়াতে তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। নতুন নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, পুরনো টার্মিনাল সংস্কার, যশোর সৈয়দপুর কক্সবাজার বিমানবন্দরকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।  তিনি বলেন, নতুন করে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হচ্ছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে পর্যটন পণ্যের উন্নয়ন, ভিসা প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণ, সৃজনশীল ও গতিশীল বিপণন ও পর্যটন সেবার প্রচারে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় অচিরেই বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিশ্বের দরবারে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান পর্যটন স্থানগুলোর পাশাপাশি এ অঞ্চলের কুতুবদিয়া মহেশখালীর সৌন্দর্য গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবালসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রেখে পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর