রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘে ভোট না দেয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ২০ বার
আপডেট : রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের বৈঠকে অনুষ্ঠিত বিশেষ ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ ভোট না দেওয়ার কারণ জানালেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। এই প্রস্তাবের ওপর সেদিন বাংলাদেশসহ ৩২ দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এক ব্রিফিংয়ে ভোট না দেওয়ার কারণ তুলে ধরে বলেন, ইউক্রেনে সমন্বিত, ন্যায়নিষ্ঠ ও টেকসই শান্তি প্রত্যাশায় যে কোনো অর্থবহ ও টেকসই সমাধানের জন্য সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ আবশ্যক বলে মনে করে বাংলাদেশ। আমাদের মতে, প্রস্তাবটিতে এই গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবসম্মত পয়েন্টটি বাদ পড়েছে। সে কারণে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছি আমরা।

সেহেলী সাবরীন বলেন, আমরা এ সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাই। আমাদের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞ জাতিসংঘ সনদের যে উদ্দেশ্য ও নীতি, তা যেকোনো মূল্যে বহাল রাখা উচিত। এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির প্রচারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাতে গুরুত্ব দেই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র  বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বেসামরিক লোকদের প্রাণহানি, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি এবং এর ফলশ্রুতিতে বিশ্বব্যাপী সামাজিক-অর্থনৈতিক অবনতির ক্ষেত্রে। আমরা সংঘাত থামানোর আহ্বান জানাই এবং যে কোনো মূল্যে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও মূলনীতিসমূহ রক্ষার বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে অবিচল রয়েছি। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সর্বত্র সবার জন্য, সব পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে। যদিও বর্তমান রেজুলেশনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি খোঁজা। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংঘাতের যেকোনো অর্থবহ ও টেকসই সমাধানের জন্য অবশ্যই সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে নিবিড় কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সংলাপ প্রয়োজন। আমাদের মতে, এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে অনুপস্থিত ছিল। সে কারণে আমরা বিরত থাকতে বাধ্য ছিলাম।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘ইউএন চার্টার প্রিন্সিপ্যাল আন্ডারলাইয়িং এ কমপ্রিহেন্সিভ, জাস্ট অ্যান্ড লাস্টিং পিস ইন ইউক্রেন’ শীর্ষক রেজুলেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর