১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মোৎসর্গকারী জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কাউকে শহীদ মিনারের আঙিনায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারদিকে সিসিটিভি স্থাপন করা হচ্ছে। শহীদ মিনারের মূল বেদিতে আঁকা হয়েছে আলপনা, আশপাশের রাস্তা ও রাস্তার পাশের দেয়ালে নতুন রঙ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে ভাষা আন্দোলন ও আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত কবিতার বিশেষ পঙক্তি, মনীষী-ভাষাবিদদের বাণী। দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ভাষা আন্দোলনের গ্রাফিতি।
রবিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শহীদ মিনারসহ সারা দেশে নিরাপত্তা বজায় রাখতে র্যাবের ইউনিফর্ম পরে একদল ও সাদা পোশাকে আরেক দল কাজ করছে। এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারি র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন সতর্ক থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হয়েছে। ২১ তারিখের জন্য শহীদ মিনার এলাকায় চেকপোস্ট, অবজারভেশন পোস্ট, স্ট্যাটিক ডিউটি, স্ট্যান্ডার্ড ফোর্সসহ মেডিক্যাল টিম থাকবে। এছাড়াও রেগুলার ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং চলছে। সুইপিং শেষ হলে আমরা ডিএমপির কাছে শহীদ মিনার হস্তান্তর করবো।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে আমাদের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। ইনটেলিজেন্স উইং থেকে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত থাকবে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব হেডকোয়ার্টারের স্পেশাল ফোর্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত আছে। আমাদের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত আছে। যেকোনও সময় স্পেশাল ফোর্স আমরা পাঠাতে পারবো। সোশাল মিডিয়ায় সাইবার অপরাধ, গুজব ও মিথ্যা তথ্য যাতে কেউ ছড়াতে না পারে সে জন্য র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার প্রতি সবার সতর্কতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। যেকোনও ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেলে বা কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে র্যাব সদর দফতরের ০১৭৭৭-৭২০০২৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রোগ্রাম, তাই রাষ্ট্রীয় আকারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। র্যাব, ডিএমপির নেতৃত্বে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকছে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং টিকা সনদ দেখাতে হবে।