রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন

জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ চলছে‌‌: উপমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৯৮ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশে স্বল্প কার্বন সহনশীল টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে বাংলাদেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম। ফলে অভিযোজন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এসব কথা বলেন। এদিন নিজ বাসভবন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির আয়োজনে মেজর ইকোনমিস ফোরাম অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট (এমইএফ)-এর ভার্চুয়াল মিনিস্ট্রিয়াল মিটিংয়ে অংশ নেন পরিবেশ উপমন্ত্রী।

ভার্চুয়াল বৈঠকে দেওয়া ভাষণে উপমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ২৬ আগস্ট ইউএনএফসিসিসি-তে জমা দেওয়া হালনাগাদ এনডিসি-তে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিমাপকৃত নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। আমরা নির্গমন হ্রাসের কাভারেজ বাড়ানোর জন্য কৃষি ও বর্জ্য খাত থেকে মিথেন নিঃসরণ হ্রাসকল্পে শক্তি ও শিল্প খাতের সঙ্গে কৃষি ও বর্জ্য সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। ইতোমধ্যেই ৫০ হাজার হেক্টর ধানের জমিতে বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর পদ্ধতি ব্যবহার করে ধানের ক্ষেত থেকে নির্গমন কমাতে কাজ করছি। আমরা গবাদি পশুর উন্নত খাদ্য এবং উন্নত সার ব্যবস্থাপনা থেকে মিথেন নির্গমন কমাতেও কাজ করছি। বর্জ্য খাতে আমরা রাজধানী ঢাকার দুইটি ল্যান্ডফিল সাইটের মধ্যে একটিতে বর্জ্য থেকে শক্তি কেন্দ্র স্থাপন করছি।

উপমন্ত্রী বলেন, কপ-২৬-এর আহ্বানের পর আমরা ইতোমধ্যেই ২০২২ সালে আমাদের এনডিসি পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবতে শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই ১২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করেছি। সম্প্রতি ন্যাশনাল সোলার এনার্জি রোডম্যাপ তৈরি করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের শক্তির ৪০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস থেকে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে। এর অধীনে আমরা আমাদের উপকূলীয় এলাকায় চার গিগা ওয়াট বায়ু শক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছি। শূন্য নির্গমন যানবাহনের ক্ষেত্রে সরকার ইতোমধ্যেই হাইব্রিড গাড়ির প্রচারের জন্য প্রণোদনা দিয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদে শূন্য নির্গমণ যানবাহনের প্রচারের জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহনের নীতিতে কাজ করছি। বনায়ন খাতে ২০২৪ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশে বৃক্ষের আচ্ছাদন বাড়ানোর জন্য প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর