রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বরাদ্দ ৩৭ হাজার কোটি টাকা

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ১২ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

আগামী অর্থবছরে জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বরাদ্দের পরিমাণ প্রস্তাব করা হয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। জলবায়ু সংশ্লিষ্ট ২৫টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে এই বরাদ্দ বাস্তবায়ন করা হবে। এরমধ্যে পরিবেশ ও মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেট অধিবেশনের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে বলা হয়, উচ্চ প্রবৃদ্ধির গতিধারা বজায় রাখার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর আমরা গুরুত্বারোপ করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও প্রশমনের বিষয়ে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদে সমন্বিত অভিযোজন কৌশল ও করণীয় নির্ধারণ করে সম্প্রতি ২০২৩-২০৫০ মেয়াদের জন্য ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান (নেপ) প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতে সৃষ্ট বিপন্নতা ও ঝুঁকি নিরসনের মাধ্যমে একটি জলবায়ু অভিঘাত সহিষ্ণু সমাজ গঠন করা।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষার জন্য ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কৌশলগত বিনিয়োগ কাঠামো বাংলাদেশের উন্নয়ন পথযাত্রাকে জলবায়ু বিপদাপন্নতা থেকে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার দিকে নিয়ে যাবে এবং আন্তর্জাতিক উৎস থেকে অর্থায়নের পথ সুগম করবে।

অর্থায়নের বিষয়ে বলা হয়, আন্তর্জাতিক উৎস হতে জলবায়ু অর্থায়ন প্রচেষ্টার পাশাপাশি আমরা আমাদের সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনকেন্দ্রিক ব্যয় সংশ্লিষ্টতা ও ব্যয় বরাদ্দের আবশ্যকতা যাচাই করছি। এছাড়া, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কার্যক্রমে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তথ্যাদি অন্তর্ভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। ফলে, তথ্য-ভিত্তিক নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সহজ হচ্ছে।

পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়ে বলা হয়, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭’ যুগোপযোগী ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া, প্রণয়ন করা হয়েছে বায়ু দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২।

ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরে ১৬টি সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্র (সিএএমএস) ও ১৫টি কম্প্যাক্ট বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের (সি-সিএএমএস)  মাধ্যমে বায়ুমান পরিবীক্ষণ এবং দৈনিক ভিত্তিতে বায়ুমান সূচক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে। শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইটিপি প্রয়োজন হয় এমন ২ হাজার ৮৯৪টি তরল বর্জ্যা নির্গমনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ৩৮২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে তরলবর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করা হয়েছে। অর্জিত ইটিপি কভারেজ ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশ। পরিবেশ সুরক্ষায় বনায়ন প্রক্রিয়ার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সনদ এর সদস্যভুক্ত দেশ। তাই কুনমিং-মনট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক এর অনুসরণে ‘ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি স্ট্র্যাটিজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্লান’ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর