রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং : বিদ্যুতের ক্ষতি ২৪ কোটি টাকা

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৯৬ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে টাকার অঙ্কে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রায় ২৪ কোটি টাকার ক্ষতির হিসাব দিয়েছে তিন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

প্রাথমিকভাবে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিভিন্ন বিতরণ জোনে মোট ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

পিডিবি সূত্র জানায়, পিডিবির ৪০০টির মতো ৯ মিটার পোল, ২৫০টির মতো ১২ মিটার পোল ও ১১০টির মতো ১৫ মিটার পোল ভেঙে গেছে। পোলের প্রকৃত সংখ্যা আগামীকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল নাগাদ আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া ৩৩ কেভি, ১১ কেভি ও পয়েন্ট ৪ কেভি লাইনও ছিঁড়ে গেছে। এগুলোর মেরামতকাজ চলছে। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জোন হলো কুমিল্লা। আগের হিসাবের বাইরে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকার মতো। পিডিবির কুমিল্লা জোনে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ময়মনসিংহে ১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, চট্টগ্রামে ৯৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা, সিলেটে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আরইবির সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে তাদের ক্ষতির পরিমাণ ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে খুঁটি ভেঙেছে, তার ছিঁড়েছে, ট্রান্সফরমার, ইনসুলেটর ও মিটার নষ্ট হয়েছে অনেক। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনও আমাদের ৪৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ-বিহীন অবস্থায় আছে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। সকালে ঝড়ের পর বিদ্যুৎ-বিহীন ছিল প্রায় ৮৭ লাখ। সারা দিন কাজের পর এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এটি রাতের মধ্যে আরও অনেকখানি কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি। তবে কিছু দুর্গম এলাকায় কাজ করতে আরও দেরি হতে পারে।’

আরইবি সূত্র জানায়, ঝড়ে এক হাজার খুঁটি ভেঙে গেছে। যার প্রতিটির দাম ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে।  সাড়ে সাত হাজার কনডাক্টর বা স্পটে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। একই সঙ্গে ৫৫০ ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে। যার প্রতিটির দাম গড়ে ৭৫ হাজার টাকা করে। ইনসুলেটর নষ্ট হয়েছে ১ হাজার ৬০০ পিস, যার দাম গড়ে এক হাজার টাকা করে। এদিকে মিটার নষ্ট হয়েছে প্রায় ১০ হাজার, যার দাম গড়ে ১ হাজার ২০০ টাকা করে।

এদিকে ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী আবুল হাসান বলেন, আমাদের অধীনে সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এরপর সকালের মধ্যে প্রায় পুরো বিদ্যুৎ আমরা সরবরাহ শুরু করতে পেরেছি। ঝড়ে আমাদের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার মধ্যে। এর মধ্যে খুঁটি, তার, মিটার ও ট্রান্সফরমারের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ঝড়ে ৮০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সরবরাহের বাইরে চলে যায়। এরপর ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা গেলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর