বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা নেতা মজিবুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া, কৃষক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম বাবুল, গাজীপুর বিএনপির ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, খন্দকার আজিজুল রহমান পেয়ারা, হেলাল উদ্দিন, ভিপি ইব্রাহিম, আবু তাহের মসুল্লী, রাশেদুল হক এবং প্রয়াত হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান বক্তব্য রাখেন।
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি সাময়িক বিচারপতি নিয়োগ হয়েছে দলীয়ভাবে। প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে লোক নেওয়া হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে। সবখানে দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ হচ্ছে। এভাবে পুরো প্রশাসনকে তারা (সরকার) দলীয়করণ করে ফেলেছে, রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, দলের পাঁচশর বেশি নেতার গুম করা এবং সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারপরও তারা আবার বলে কী যে, নির্বাচনের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। আরে আপনারা জেনেশুনে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছেন যে, এখানে কেউ যেন ভোট দিতে না পারে- সেই ব্যবস্থা তৈরি করেছেন। আপনারা এখানে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছেন যে, কেউ কোনো বিচার পাবে না। আজকে আপনি যে কোর্টেই যান, সেই কোর্টে বিএনপি দেখলেই তার জন্য আলাদা বিচার, আর বিএনপির বাইরে আলাদা বিচার- এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ‘জোটবদ্ধ’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সমস্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদেরকে আজকে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ-ফ্যাসিস্ট-দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। কিন্তু এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতেও দেওয়া হবে না। চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করা হবে, বাধা দেওয়া হবে। সেই বাধার মুখে আপনারা টিকে থাকতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে গঠিত ‘সার্চ কমিটির’ কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই বলে তিনি দাবি করেন।