রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে মতামত শিগগিরই: আইনমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১১৬ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়া হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, যখন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা হয় তখন আমি খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসা নিয়ে ভুলের বিষয়টি হাইলাইট করেছি এবং পরিষ্কারভাবে আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি ও তিনি যে মুক্ত, আইনিভাবে তার যে অবস্থান, আমি সেটা তাদেরকে বুঝিয়েছি। আমার সঙ্গে কয়েকদিন আগেই আলোচনা হয়েছে এবং তারা বলেছে এই জায়গায়টা তারা কারেকশন করবে।

বিএনপি খালেদা জিয়া ইস্যুতে যে কয়বার মতামত চেয়েছে তা ৫/৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এবার প্রায় ৪০ দিন হতে চললো এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমার কাছে হাইকোর্টের বিএনপি সমর্থিত ১৫ জন আইনজীবী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে কোথাও আইনি কোনো সাপোর্ট আছে কিনা সেটা আমি দেখব ও দেখেছি। তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট কোনো আইনি সাপোর্ট আমি পাইনি। তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা কোনো আদালতই সাপোর্ট করেননি। বরং আমি যে বক্তব্য সংসদে দিয়েছি অনেক রায়ে তাকেই সমর্থন করা হয়েছে।

তাহলে কি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরাসরি সরকার না অবস্থান নিয়েছে?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি খবু শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমত দিয়ে দেব। মানবিক কোনো বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমাকে আইনের দিক থেকে দেখতে হবে। তার কারণ সরকার কোন আরবিট্ররি পদক্ষেপ নিতে পারে না। বরং সরকারকে যে পদক্ষেপ নিতে হয় সেটা আইনি পদক্ষেপ। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মানবিক পদক্ষেপ যেটা ছিল সেটার অভিব্যক্তি হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারা অনুযায়ী দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাঠাবেন কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে। তাহলে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো চিঠি দিচ্ছে না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে ব্যাপারে পরে জানানো হবে। আপনি বলেছেন সরকার পরিচালনা করতে গেলে কখনও কখনও মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হওয়াটা স্বাভাবিক, তবে আপনারা আপনাদের কাজ করবেন- এর জবাবে তিনি বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে এটা হতেই পারে, সারা বিশ্বে যে মানবাধিকার কমিশন আছে সেটা হচ্ছে মানবাধিকার রক্ষার ওয়াচডগ। যখন তারা কোনো সরকারের কাছে প্রশ্ন করবেন তখন সে সরকারেরও একটা বক্তব্য থাকবে। মানবাধিকার কমিশনেরও একটা বক্তব্য থাকবে। আমি সেই বক্তব্যের বৈপরিত্য এবং দ্বন্দ্বের কথাই উল্লেখ করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর