রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

কৃষকরা এখন ভালো আছে, ভর্তুকি-প্রণোদনা আর নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৬৫ বার
আপডেট : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কৃষকরা এখন ভালো আছে। তাই ধীরে ধীরে কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া থেকে সরে আসা উচিত।  রেমিট্যান্সে ঢালাও প্রণোদনা দিলে টেবিলের নিচ দিয়ে অর্থ পাঠিয়ে ওপর দিয়ে এনে ঘরে বসেই তারা প্রণোদনা নেবে। তাই ভর্তুকি ও প্রণোদনা আর চান না তিনি।শনিবার (৪ জুন) ‘সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনে এই আলোচনার আয়োজন করে ‘ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) ও ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। আলোচনায় অংশ নেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, আইসিএবির সভাপতি শাহদাৎ হোসেন, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন আবুল কাসেম খান, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়। এজন্য কৃষিকে সব সময় আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এখন তো শ্রীলঙ্কা-ভীতিও আছে। বৈশ্বিকভাবেও সারের দাম বাড়ছে। তাই ভর্তুকির বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে। তবে এখন গ্রামে কৃষকের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামে বাড়ি-ঘরের রূপ পরিবর্তন হয়েছে, ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করছে। সবাই ভালো আছে। তাই ধীরে ধীরে কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া থেকে সরে আসা উচিত।

এম এ মান্নান বলেন, বর্তমানে কোনো প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাচ্ছেন। এছাড়া পাঁচ হাজার ডলারের ওপরে বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স এলে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে বিনা প্রশ্নে। প্রবাসীরা দেশে খান না, কিন্তু নিট আয় দেন। ঢালাওভাবে তাদের প্রণোদনা দিলে তার অপব্যবহার হবে। তাই আমি এর পক্ষে নই। রেমিট্যান্সে ঢালাও প্রণোদনা দিলে টেবিলের নিচ দিয়ে অর্থ পাঠিয়ে ওপর দিয়ে এনে ঘরে বসেই তারা প্রণোদনা নেবে। যারা মাসে দুইশ’ থেকে তিনশ’ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান কেবল তাদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর