রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

কারাগার ও থানায় বায়োমেট্রিক ডাটা চালুসহ তিন দফা নির্দেশ: হাইকোর্ট

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১১৮ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পরপরই তার মুখের ছবি ধারণ করা সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনের প্রথম কাজ হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। থানা ও কারাগারে প্রকৃত কয়েদিদের শনাক্তে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু সংক্রান্ত মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দিয়েছেন।

৬ পৃষ্ঠার এই রায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো:

১. দেশের সব পুলিশ স্টেশনে বিদ্যমান ক্রাইম ডেটা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে (সিডিএমএস) আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হাতের তালুর ছাপ (পাম প্রিন্ট), চোখের মণি (আইরিশ) স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা যুক্তসহ বায়োমেট্রিক ডাটা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৩. দেশের সব কারাগারে আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হাতের তালুর ছাপ (পাম প্রিন্ট), চোখের মণি (আইরিশ) স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা যুক্তসহ বায়োমেট্রিক ডাটা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করতে হবে।

আদালত তার রায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনটি নির্দেশনা দেন। এগুলো হলো, বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে সব থানায় আসামির হাতের আঙুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন;  গ্রেফতারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি (Mugsgot photographs) ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে (integrated) সংরক্ষণ; এবং  দেশের সব কারাগারে আঙুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণির সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালু করা। পাশাপাশি এ মামলার ভুল আসামি জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানা অবৈধ এবং আইনবহির্ভূত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে জহির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গত ২৮ জুন দেশের সব জেলখানায় কয়েদিদের শনাক্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর