রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে আমরা হেরে যাচ্ছি: জাতিসংঘ মহাসচিবের সতর্কবার্তা

রিপোর্টার / ৪৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

মিশরের শারম-আল-শেখ এ চলছে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭। সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে জলবায়ু বিপর্যয় নিয়ে বিশ্বের দেশগুলোকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়ে গুতেরেস বলেন, “গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়ছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে। আমাদের পৃথিবী দ্রুতগতিতে ওই বিন্দুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে পৌঁছলে জলবায়ু বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। আমরা জলবায়ু নরকের মহাসড়কে উঠে পড়েছি। আমাদের পা আছে চলমান সিঁড়িতে।

সম্মেলনের শুরুতে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে কার্বন নির্গমন কমাতে এখনই একজোট হয়ে কাজ করা নতুবা ভবিষ্যত প্রজন্মকে জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার দুই কঠিন পছন্দের মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নিতে বলেন গুতেরেস।

দুই সপ্তাহের এ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতা ও প্রতিনিধিরা কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করবে।

গুতেরেস তার বক্তব্যে বলেন, মানবতাকে সহযোগিতা করতেই হবে, অথবা ধ্বংস হয়ে যেতে হবে। তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে স্থানান্তর ত্বরান্বিত করার জন্য বিশ্বের ধনী এবং গরিব দেশগুলোর মধ্যে একটি চুক্তির আহ্বান জানান। পাশাপাশি গরিব দেশগুলো যাতে কার্বন নির্গমন কমাতে পারে এবং ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে তাদের অর্থায়নের আহ্বানও জানান।

গুতেরেস বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের এই চুক্তিকে বাস্তবে পরিণত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করার বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।মিশরে ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’ (কপ) এর ২৭ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জলবায়ু নিয়ে কথা হচ্ছে দশকের পর দশক ধরে। কিন্তু অত্যধিক উষ্ণ হয়ে যাওয়া থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত বলে মনে করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, দেশগুলো হয় খুবই ধীর গতিতে কাজ করছে, অথবা কাজ করতে অনিচ্ছুক।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আল গোরও ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যখন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় আসে তখন বিশ্ব নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতায় সমস্যা রয়েছে। তিনি উন্নত দেশগুলোর আফ্রিকায় গ্যাসের সন্ধানে চলমান অনুসন্ধানের সমালোচনাও করেন। যেটিকে তিনি ‘জীবাশ্ম জ্বালানি উপনিবেশবাদ’ বলে বর্ণনা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর