রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

ওয়াগনারের ‘বিদ্রোহ’ দমনে পুতিনকে সহযোগিতায় প্রস্তুত কাদিরভ

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১১ বার
আপডেট : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন চেচেন নেতা ও পুতিন মিত্র রমজান কাদিরভ। একই সঙ্গে তিনি ওয়াগনারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ক্রেমলিনকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। শনিবার (২৪ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
ওয়াগনার যোদ্ধাদের উদ্দেশে কাদিরভ বলেন, কী লক্ষ্য আপনাদের দেয়া হয়েছে, কেমন প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা কোনও বিষয় নয়। এমন মুহূর্তে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং রুশ সমাজের সম্মিলন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। দেখুন এই পরিস্থিতির সুবিধা কীভাবে নিচ্ছে আমাদের পশ্চিমা শত্রুরা। এটি হলো প্রিগোজিনের (ওয়াগনার প্রধান) ষড়যন্ত্রমূলক অভিযানের প্রত্যাশিত পরিণতি। প্রিগোজিনের ‘জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা’ নিয়েও কথা বলেছেন চেচেন নেতা।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি দীর্ঘ বক্তব্যে কাদিরভ লিখেছেন, আমি বারবার সতর্ক করেছি যুদ্ধকালে ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও বিরোধ সমাধানের সময় নয়। আমাদের সব সময় শান্ত ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে। কল্পনা করে দেখুন পরিখায় থাকা সেনারা এখন কেমন অনুভব করছে, যারা শত্রুর মোকাবিলা করছে। অথচ দেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা স্থিতিশীলতার কথা বলছি, আমরা রাষ্ট্রের ঐক্যের কথা বলছি। আমরা নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা বলছি। কাদিরভ বলেছেন, আমাদের সুপ্রিম কমান্ডার-ইন-চিফ রয়েছেন, তিনি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। তিনি পুরো পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ছোট বিষয় সম্পর্কেও যেকোনও কৌশলবিদের তুলনায় ভালো করেই জানেন।
শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া পুতিনের ভাষণের কথা তুলে ধরে চেচেন নেতা বলেছেন, জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পুতিন সঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন, এটি একটি সামরিক বিদ্রোহ। এমন পদক্ষেপের কোনও অজুহাত থাকতে পারে না। আমি পুরোপুরি পুতিনকে সমর্থন করি। তিনি বলেছেন, যা ঘটছে তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি কোনও আলটিমেটাম নয়। এটি রাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ, এটি জাতীয় নেতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। এটি সেনাবাহিনী, নিরাপত্তাবাহিনী, গভর্নর ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। এই বিদ্রোহকে অবশ্যই দমন করতে হবে। এজন্য যদি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয় তাহলে আমরা প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ওয়াগনার যোদ্ধাদের ওপর রুশ সেনারা হামলা চালিয়েছে অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাতে রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাত করার ঘোষণা দেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। এরপরই তিনি বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করে রোস্তভ শহরের সামরিক অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছেন। মস্কো অভিমুখে এগিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে প্রিগোজিনকে ‘সশস্ত্র বিদ্রোহী’ আখ্যা দিয়েছে মস্কো। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১২ থেকে ২০ বছরের সাজা হতে পারে প্রিগোজিনের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর