মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন

এমপি মতিনের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ২৮ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কুড়িগ্রাম-৩ উলিপুর আসনের সংসদ সদস্য এম এ মতিন ও দেলোয়ার হোসেনের নামে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে উলিপুর উপজেলার সচেতন মুক্তিযোদ্ধারা।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের পর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান উলিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম হোসেন মন্টু। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ প্রমুখ। এ সময় উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীব রানাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, সংসদ সদস্য এমএ মতিন ১৯৭৯ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলে। এছাড়াও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সংসদ সদস্য এম এ মতিনের নামে এম এম তিন কারিগরি ও কৃষি কলেজের এমপিও ভুক্তির জন্য তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়ার ডিও লেটার ব্যবহার করেন তিনি। ডিও লেটারে মান্নান ভূঁইয়া এমএ  মতিনকে বিএনপি পরিবারের সদস্য হিসেবে খালেদা জিয়ার কাছে সুপারিশ করেন। তিনি এবং তার পরিবার রাজাকার পরিবার। তারা মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনকারী। তিনি কোনদিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। লাল মুক্তিবার্তা, ভারতীয় তালিকা এবং ২০০৫ সালে প্রকাশিত গেজেটে তার নাম নেই। তিনি ২০১৪ সালে অনলাইনে আবেদনও করেন নি এবং সেই তালিকায় তার নাম নেই। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিনি গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে দাবি করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছেন।

এছাড়াও দেলোয়ার হোসেন নামে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক একজনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। আমরা এই দুই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম বাতিলের আহবান করছি। না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হবো।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এম এ মতিন জানান, বিষয়টি রাজনৈতিক বিদ্বেষপ্রসুত। আমি ২০১১ সালে আবেদন করেছি। যাচাই-বাছাই ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার আমাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব অনুমোদন দিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর