শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন

ইউক্রেন রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৬৬ বার
আপডেট : রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটাস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা নেই তার দেশের। আমরা ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না। আমরা জোর করে কারো ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা বহুবার ব্যাখ্যা করেছি যে ইউক্রেনের পরিস্থিতি এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যে এটি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১৩ মার্চ) ঢাকাস্থ রুয়া দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশন নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি ইউক্রেন সম্পর্কিত রাশিয়ান বিরোধী প্রচার প্রচারণার জন্য পশ্চিমা সংবাদ সংস্থাগুলির বিপুল সংখ্যক সম্পাদকীয় নিবন্ধ, কপিরাইট, পুনঃমুদ্রণ, সেই সঙ্গে ইউরোপীয় এবং আমেরিকান বিশ্লেষকদের প্রকাশনাগুলো দেখেছি। এসব প্রকাশিত এবং সম্প্রচারিত সংবাদ পক্ষপাতমূলক। এমনকি রাশিয়ার প্রতি ঘৃণা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। রাশিয়া-বিরোধী এমন প্রচারণায় কিছু নির্দিষ্ট বাংলাদেশি সংবাদপত্র এবং সম্প্রচার মাধ্যমও জড়িয়ে পড়েছে। আমি বাংলাদেশি পাঠকদের কাছে ইউক্রেন নিয়ে আবারও রুশ সামরিক বাহিনীর লক্ষ্য এবং কাজগুলো ব্যাখ্যা করতে চাই।

তিনি উল্লেখ করেন ইউক্রেনে রুশ অভিযানের কারণ হলো- ইউক্রেনের রুশ-ভাষী বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা, যারা ৮ বছর ধরে কিয়েভ সরকার দ্বারা গণহত্যার শিকার হয়েছেন। নব্য ফ্যাসিবাদ নির্মূল করা। ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ রোধ করা এবং ৪. ইউক্রেনে ন্যাটো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন বন্ধ করা। তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো- ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ও নাৎসি মতাদর্শ থেকে মুক্ত করা। ইউক্রেনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা নব্য ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটানো। রাশিয়ান ফেডারেশনের সীমান্তে সামরিক হুমকি দূর করা। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য হুমকিস্বরূপ ইউক্রেনের আগ্রাসী সত্ত্বাকে নিরস্ত্র করা। রাশিয়ান ফেডারেশনের আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেনের বেসামরিক লোক ও রাশিয়ান ফেডারেশনের নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং শাস্তি দেওয়া। রাশিয়ান ফেডারেশনের পার্লামেন্টের অনুমতি নিয়ে জাতিসংঘের সনদের অনুচ্ছেদ ৫১ (অধ্যায় ৭ ) অনুসারে এবং দোনেতস্ক ও লোহেনস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহায়তার চুক্তি বাস্তবায়ন। এসব লক্ষ্যে মস্কো এই বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর