রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেন প্রশ্নে মার্কিন বিভাজন!

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ২১ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন রাজনীতির বিভাজন কাজে লাগাতে পারদর্শী প্রমাণিত হয়েছেন। তাই গত এক বছরে ইউক্রেনকে সশস্ত্র করার পেছনে দৃঢ় দ্বিদলীয় ঐকমত্য পুতিনের কাছে আশ্চর্যজনক হতে পারে। যুদ্ধের এক বছর পর প্রশ্ন হলো, সেই ঐকমত্য কতদিন স্থায়ী হতে পারে?

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম বার্ষিকীর দুই সপ্তাহ আগে ফ্লোরিডার সিনেটর ম্যাট গেটজের নেতৃত্বে ট্রাম্প-সমর্থকরা ‘ইউক্রেন ক্লান্তি’ প্রস্তাবের প্রবর্তন করেছিল। এটি পাস হলে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ইউক্রেনকে তার সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করতে হতো। সেই সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে যেতে সব পক্ষকে আহ্বান জানাতে হতো।

প্রস্তাবটি কংগ্রেসের ১১ জন রিপাবলিকান সদস্য তৈরি করেছিলেন। ফলে এটির পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। যদিও এটি ইউক্রেনকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আসলে ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় এই রেজুলেশনটি তৈরি করা হয়।

ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর গেটজ বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্যই ২০২২ সালের মার্চের ভবিষ্যদ্বাণী ভুলে গেছেন। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া হলে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ লেগে যেতে পারে। আমেরিকা নিজেই ধুঁকছে। আমরা যদি অন্য দেশের যুদ্ধের জন্য ডলার খরচ করতে থাকি, তবে ঝুঁকি আরও বাড়বে।

প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এই দলের গুরুত্ব বেশি। নতুন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি রিপাবলিকান সদস্যদের মধ্যে ১৫ দফা ভোটের পরই দায়িত্বে যোগদান করেছিলেন।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস মারফি বলেন, এ মুহূর্তে সিনেটে যথেষ্ট রিপাবলিকান রয়েছেন, যারা ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে ইউক্রেনের সহায়তাকে সমর্থন করেন। তবে আমি জানি না হাউজে কী ঘটতে চলেছে।মারফি বলেন, আমি মনে করি ইউক্রেনে সহযোগিতা কমিয়ে আনতে স্পিকার ম্যাকার্থির ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকবে। তবে আমরা এটিও জানি, রুশ এটিকে দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছে।

ইউরোপীয় কূটনীতিকরা রিপাবলিকানদের সঙ্গে লবিং করছেন। রাশিয়ান আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা সংহতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। ইউরোপীয় এক কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিভাজন এখন অনেক বেশি স্পষ্ট। ইউক্রেনকে সমর্থন দিতে রিপাবলিকান নেতৃত্বের অবস্থান পরিষ্কার। হাউজে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি ফ্রিডম ককাসেরও অনেক প্রভাব রয়েছে। এতে রাতারাতি সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। কেবল পদ্ধতিটি ধীর হতে পারে। আর সেটাই হলো বিপদ।

রিপাবলিকান রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ফ্রাঙ্ক লুন্টজ যুক্তি দিয়েছিলেন, পার্টিতে রাশিয়ানপন্থি লবিং কমেছে আগের তুলনায়। ট্রাম্প পুতিনকে জিনিয়াস বলতেন। তাই বলে ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন কমে যাবে, এটা আমি আশা করি না। তবে, একটি সাম্প্রতিক জনমত জরিপ ইউক্রেনে ক্রমাগত অস্ত্র সরবরাহের প্রতি সমর্থন কমে আসছে বলে ওঠে এসেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং ন্যাশনাল ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টারের জরিপে, প্রশ্ন করাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ বলেছেন, তারা অস্ত্র সরবরাহের পক্ষে এবং ২৯ শতাংশ বিরোধী। গত মে মাসে ৬০ শতাংশ মার্কিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল।

দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর