বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগ দিতে লাইন ধরছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আসে। আওয়ামী লীগের দরজা খুলে দিলে দেখা যাবে যোগদানের লাইন কত বড়।
শনিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা জানান। বিএমএ মিলনায়তনে সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. কামরুল হাসান খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ এর মহাসচিব ডা. শফিকুর রহমান প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন আসুক। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রমাণ পাবেন। তখন প্রমাণ পাবেন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কত উঁচুতে। আমাদের প্রমাণ করতে হবে না, টের পাবেন। আপনাদের দলের নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীদেরই আস্থা নেই। আপনাদের দলের অনেকেই তো আমাদের কাছে আসে। বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চায়। আওয়ামী লীগের দরজাটা খুলে দিলে দেখা যাবে যোগদানের লাইন কত বড়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদেশে বন্ধু আছে, আমাদের প্রভু নেই। প্রভু আছে আপনাদের (বিএনপি)। আমরা বন্ধুত্ব করি। আমরা কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসিনি। আমার দেশের জনগণ সমর্থন করেছে, আল্লাহ পাক দয়া করেছে তাই ক্ষমতায় আছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৩ সালে চিলির প্রেসিডেন্ট সালভাদোর আয়েন্দে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি অনেকের কাছে উচ্চারণ করেছিলেন একটি বুলেট আমাকে পিছু তাড়া করছে। কিন্তু তার আত্মবিশ্বাস ছিল অনেক উঁচু। তিনি অনেকের কাছে বলেছিলেন এরা আমার সন্তান, এরা আমাকে মারবে না। এই হত্যাকাণ্ডের পর মঞ্চের খুনিদের আমরা চিনলাম। কিন্তু যারা পেছনে থেকে সাহস দিয়েছিলেন, কুশীলব ছিলেন তাদের ব্যাপারে জানা যায় না। সেদিন অনেকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। তার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেনি। এত বিশ্বস্ত বন্ধু, এতো নেতাকর্মী দলের সেদিন কাউকে দেখা গেলো না। ।
কাদের বলেন, ইতিহাসের পরিণতি করুণ। জিয়াউর রহমানেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। যে বুলেট শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাকে এতিম করেছে সেই বুলেট খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে।