রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

আর যেন কখনও মঙ্গা দেখা না দেয়: প্রধানমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ১৯৯ বার
আপডেট : রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২

সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে আর যেন কখনও মঙ্গা দেখা না দেয়। আর কখনও যেন দুর্ভিক্ষ না হয়, এদের মানুষ যেন কষ্ট না পায়। রবিবার বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো রংপুরে নির্মিত ১০ তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্স উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন প্রান্ত থেকে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ভবনটি উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, মানুষ অনেক স্বচ্ছল হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের আরও অনেকদূর যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশকে নিয়ে, এদেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন— ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন, আমাদেরও লক্ষ্য- আমরা সেটাই করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রংপুর অঞ্চলে প্রতিবছর মঙ্গা হতো। বিশেষ করে চৈত্র মাসে এবং কার্তিক মাসে, বছরে দুই বার এই মঙ্গা লেগেই থাকতো। আমরা এই কারণটা খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি মানুষের কোনও কাজ থাকতো না, কোনও উৎপাদন থাকতো না, মানুষের খাবার ব্যবস্থা থাকতো না।  আমরা শুরু থেকেই পরিকল্পনা নেই, কীভাবে এটা দূর করা যায়। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন কিন্তু মঙ্গা ছিল না। রংপুরবাসী মনে করতে পারবেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৮ সালেই মঙ্গা দূর করে দিয়েছিলাম। এসব অঞ্চলে গবেষণা চালিয়ে অভাবের সময়টাতে ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয় এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এর ফলে আমরা সরকারে থাকাকালে কোনও মঙ্গা ছিল না। দুর্ভাগ্যবশত পরে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবারও মঙ্গা শুরু হয়। পরে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার রংপুর বিভাগ করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিভাগ করার পর এই অঞ্চলে সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই অঞ্চলে আর মঙ্গা দেখা দেয়নি, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়নি। মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে রংপুর। যেটা একসময় খাবার অভাবে মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা যেতো। তিনি নিজের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার মনে পড়ে যে, আমি যে মানুষগুলোকে দেখেছি; তারা যখন দাঁড়াতো, মনে হতো তাদের হাড় আর চামড়া ছাড়া আর কিছু নেই। জীবন্ত কঙ্কাল যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে- এ অবস্থা আমার নিজের চোখে দেখা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এখন সেই অবস্থা আর নেই, সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর