রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

আরপিও সংশোধনী অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত: ওবায়দুল কাদের

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১৬ বার
আপডেট : বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনীকে ‘অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত’ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৫ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা এ কথা জানান তিনি। যৌথসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত, ন্যায়সঙ্গত। নির্বাচনে একটি বা দুইটা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে, এই এক বা দুটি কেন্দ্র বন্ধ হতে পারে। কিন্তু পুরো নির্বাচন কেন বন্ধ করতে হবে, এটা অযৌক্তিক। এটা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে আছে? এ আইনে সেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশে এক রকম, আমাদের কেন ভিন্ন কিছু করতে হবে?
সদ্য সমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভোটে অংশ না নিয়ে বিরোধী দলগুলো অপপ্রচার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রতিটা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছে। এই ভোটে বড় ধরনের কোনও বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। বিএনপি ও তাদের বন্ধুরা নির্বাচনে অংশ না দেওয়ার পরও আওয়ামী লীগ, ছোটখাটো আরও কিছু দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৫০ শতাংশ ভোট টার্নওভার হয়েছে। এই অপপ্রচার একেবারে সত্য নয়, এটা নিতান্ত অপপ্রচার। এর জবাব আমি সত্য ঘটনা তুলে ধরছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনব্যবস্থাকে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আধুনিকায়ন ও গণতান্ত্রিক করেছেন মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠনে। এবার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পার্লামেন্টে ইনডিপেনডেন্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থার যে বিকাশধারা, এটি একটি গুণগত পরিবর্তন।
আওয়ামী লীগ দেশের সংবিধান অনুসরণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, চিরজীবন আমরা সরকারে ছিলাম না, অথবা না-ও থাকতে পারি। বিরোধী দলে গেলেও আমরা সংবিধান মেনে চলি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন-চার মাস বাকি আছে উল্লেখ করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখনও বিদেশিদের ওপর তাকিয়েছে আছে। কার ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করবে। পত্রপত্রিকা দেখছি প্রতিনিধি দল আসছে। বিএনপি ভাবছে, প্রতিনিধি দল এসেই সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, ভিসানীতি দেবে। তারা দিবা স্বপ্ন দেখছে।
বিএনপি এখনও বিদেশিদের কাছে নালিশের মধ্যে নিমগ্ন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নালিশটা পাবলিকের কাছে না দিয়ে নালিশটা দেয় বিদেশিদের কাছে। বিদেশি আমাদের বন্ধু, সবাই দেবে। তাদের কিছু বলার থাকলে আমাদের কাছে বলতে পারে, সেটা বন্ধুসুলভ আচরণ। এখানে কোনও প্রভুত্বের কিছু নেই। বিএনপি প্রভুদের কাছে নালিশ করে, বন্ধুদের কাছে নালিশ করে না। সব পরামর্শ আমাদের গ্রহণ করতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর