রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ন

আমরা ভ্যাক্সিন রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১৬ বার
আপডেট : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা ভ্যাক্সিন সহ প্রায় ১৩ রকমের ভ্যাক্সিন উৎপাদন করা হবে। আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভ্যাক্সিন রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো। এরসঙ্গে আমাদের দেশে বহুসংখ্যক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
দেশেই ১৩ রকমের টিকা উৎপাদনে রাষ্ট্রীয় ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডেক ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সমঝোতা স্মারকের আওতায় আমেরিকার ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং মান-নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। এ ছাড়াও, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের সিইও মার্ক এমালফার্ব, বিএসএমএমইউ এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এহসানুল কবীর সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের ভ্যাকসিন প্লান্টটি গোপালগঞ্জে প্রায় ৯ একর জায়গায় স্থাপিত হবে। জায়গাও ইতোমধ্যেই অধিগ্রহণ করা হয়ে গেছে। এখানে করোনা ভ্যাক্সিন সহ প্রায় ১৩ রকমের ভ্যাক্সিন তৈরি করা হবে। বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশ এই মানের ভ্যাক্সিন উৎপাদন করতে পারে। আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভ্যাক্সিন রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো। এরসঙ্গে আমাদের দেশে বহুসংখ্যক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
আমেরিকার ডায়াডেক সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা আমাদেরকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে, লোকবল ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে। এখানে তাদের কোনো অংশীদারিত্ব থাকবে না। এখানে যে ভ্যাকসিনগুলো তৈরি হবে সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে। এই বিষয়ে তারা আমাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী চার বছরে আমরা উৎপাদনে যেতে পারবো। এই প্লান্টে আমরা প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল ভ্যাক্সিন উৎপাদন করব। এই ভ্যাকসিন প্লান্ট তৈরিতে আমরা সাড়ে তিনশো মিলিয়ন ইউএস ডলারের আশ্বাস আছে। এরপর আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতে হবে। তিনি বলেন, আজ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। যখন তাদের সঙ্গে চুক্তি হবে, তখন সেই চুক্তিতে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। তারা আমাদেরকে টিকা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দেবে, তারা আমাদের দেশের লোকদেরকে টিকা উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। আমাদের দেশের লোকজন প্রয়োজন হলে দেশের বাইরেও যাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর