রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

আদালতে ঝর্ণাকে মামুনুল : শরিয়তের হুকুম হিজাব খুলবে না

আদালত প্রতিবেদক / ৯৯ বার
আপডেট : বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

চাঞ্চল্যকর সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আজ আদালতে মুখোমুখি হলেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. শাহীন উদ্দিনের আদালতে তারা মুখোমুখি হন। সেখানে ঝর্ণার সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। এসময় সাক্ষ্যগ্রহণের শুরুতে আদালত ঝর্ণার মুখের হিজাব খুলতে বলেন। তবে মামুনুল হক উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, শরিয়তের হুকুম, হিজাব খুলবে না ঝর্ণা। কিন্তু ঝর্ণা একবার হিজাব খুলে বিচারককে মুখ দেখিয়ে ফের হিজাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জেরা চলাকালীন ঝর্ণার দিকে বারবার তাকিয়েছেন মামুনুল হক।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জানান, বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা মেডিক্যাল টেস্টে বলেছেন তিনি মামুনুল হকের কালেমা পড়া স্ত্রী। মামুনুল হকের সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন। তাদের অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় তিনি কোথাও মামলা কিংবা জিডি করেননি। কারও কাছে বলেননি।

তবে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ বলেন, সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করেছেন। তার বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন জান্নাত আর ঝর্ণা তার (মামুনুল হক) স্ত্রী। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যদিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এর কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা করেন। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর