রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির ফের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে এই আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি চলাকালে কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এসময় বারবার তার আইনজীবীর দিকে তাকিয়ে শুনানি শুনছিলেন আর কাঁদছিলেন।
তার আইনজীবী মজিবুর রহমান শুনানিতে পরীমণিকে ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সামথিং’ উল্লেখ করে বলেন, এটা মাদকের মামলা। প্রথম সিনেমা লাস্ট কিস; সেখান থেকে সিনেমা আজকের জায়গায় এসেছে। আমরা কী আবার পেছনে ফিরে যেতে চাই?
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, পরীমণি যে পোশাকে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন, ১২২ ঘণ্টা তাকে একই কাপড়ে রাখা হয়েছে। এই আইনজীবী আদালতকে বলেন, হতে পারেন তিনি অভিযুক্ত। তার তো একটা লাইফস্টাইল আছে। তার প্রতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে।
এসময় তার আইনজীবী আদালতের কাছে কিছুটা সময় আবেদন করেন। কারণ পরীমণির সাথে আইনজীবীদের কোনও কথা হয়নি। মজিবুর রহমান বলেন, তিনি (পরীমণি) অসুস্থ, মেয়ে মানুষ। তাকে এই আইনে কেন রিমান্ডে নেবেন? যারা মাদক সেবন করেন তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য এ আইন না। তিনি যদি ব্যবসার সাথে জড়িত হন। তবে রিমান্ডের ব্যাপার আসতো।
পরে তিনি আদালতের কাছে পরীমণির জামিনের আবেদন করেন।
গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ (১০ আগস্ট) তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
শুনানিতে অংশ নিয়ে পোশাকের বিষয়ে পরীমণির আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ বলেন, পরীমণি এতদিন অন্য জামা গায়েই ছিলেন। আজ আসার আগে তিনি জামা চেঞ্জ করে এটা গায়ে দিয়ে এসেছেন।
তিনি আদালতকে বলেন, মামলার আসামি পরীমণির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা। এই মাদক কোথা থেকে আসলো? তার উৎস কী? সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে আবারও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরীমণির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে পরীমণি বলেন, আপনারা মিডিয়ার লোকেরা কি করছেন? আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।