রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

আগামী বছর এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৭ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়ার চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা কোন মাসে শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর চেষ্টা থাকবে এইচএসসি এপ্রিলে করার। এবারও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে। এসএসসি চেষ্টা করবো আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে নিতে। আজ রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল, পরীক্ষার সময়টা একটু আগানো যায় কিনা, এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসির সময় আমরা এটা করেছিলাম। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা দুই বেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে দেরিতে শুরু করলে সমস্যা হয়ে যায়। আমরা দেখেছি অনেক বেশি ভিড় হয়, জ্যাম হয়। পরীক্ষার্থীদের অনেক আগে বাসা থেকে বের হতে হয়। দেরি হয়ে গেলো কিনা, তাদের মধ্যে অ্যানজাইটি কাজ করে। সে জন্য সময়টা অ্যাডজাস্ট করলে ভালো হয়। কিন্তু দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে সেটা আর করা যায় না।
বিভিন্ন কেন্দ্রের পরিবেশ খুবই অগোছালো, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দীপু মনি বলেন, আমরা খেয়াল করেছি প্রতি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড়। পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা-অভিভাবক ভিড় করেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান করবো, আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।
আগামী বছর এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রশ্ন ফাঁসের গুজব বা ফাঁস আছে কিনা, প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার নতুন কিছু সমস্যা হবে না বলে আশা করি। পুরোনো যে সমস্যা, তা যাতে না ঘটে, সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাঁচ বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁস নেই। গুজবও কমে এসেছে। আশা করি এবারও থাকবে না।
প্রতিবছর এইচএসসির ফরম পূরণে ৩৫০ কোটি টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দারিদ্র্য যেন কোনও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। অর্থাৎ রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেবে। সেই প্রতিজ্ঞা বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। এখন বঙ্গবন্ধুকন্যা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। কাজেই কোনও শিক্ষার্থী যদি এই রকম অবস্থায় থাকে, তার জন্য সব ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। যদিও আজকাল ওই রকম অবস্থা খুব কম। যেসব শিক্ষার্থীর সক্ষমতা নেই, তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করবে, টিউশন ফি ফ্রি করে দেওয়া, সেটাও তারা করবে বলে আশা করি। আর সরকারের তো উপবৃত্তি আছেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর