শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ন

আগামী দুই মাস সবধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ২৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় আগামী মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস জাটকাসহ সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ সময়ে জেলার ৪৪ হাজারের অধিক জেলে বেকার হয়ে পড়বে। তবে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদেরকে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল চার মাস খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল দিবে সরকার। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সচেতনামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষীপুর, বরিশাল ভোলার পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের ছয়টি নদী অঞ্চলে মার্চ-এপ্রিল অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সকল প্রকার জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। আগামীকাল বুধবার (১ মার্চ) থেকে অভয়াশ্রম কার্যক্রম শুরু হবে।

চাঁদপুর জেলার  সদর, হাইমচরে, মতলব ও দক্ষিণ উপজেলার মেঘনার ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রমের অন্তর্ভুক্ত। অভয়াশ্রমের কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে এ চার উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়বে। সরকার জেলার নিবন্ধিত ৪৪ হাজার জেলের মধ্যে ৪০ হাজার জেলের জন্য প্রতিনাসে ৪০ কেজি করে চার মাসের জন্য চাল বরাদ্দ প্রদান করেছে। চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি ছোট প্রজাতির মাছের পোনা রক্ষায় কম্বিং অপারেশনের সমন্বয় করে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। জানুয়ারি মাসের চাল বিতরণ করা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের চাল বিতরণ চলছে। তবে চার হাজার জেলের চাল বরাদ্দ না আসায় তাদের পরিবার পরিজনের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর, কল্যাণপুর, তরপুরচন্ডী আনন্দ বাজার, শহরের বড় স্টেশন টিলাবাড়ী, পুরাণ বাজার রনাগোয়াল ও দোকানঘর এলাকায় দেখা গেছে জেলেরা তাদের নৌকায় ডাঙ্গায় উঠাচ্ছেন। আবার অনেকে তাদের নৌকা এবং নৌকার ইঞ্জিন মেরামত করছে। তরপুরচন্ডী আনন্দ বাজার এলাকার জেলে নুর উদ্দিন জানান, সরকার নদীতে অভিযান দিলে মাছ ধরেন না। কিন্তু জেলার বাহির থেকে অন্য জেলেরা এসে জাটকা ধরে নিয়ে যায়। এই কাজটি নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানান তিনি।

চাঁদপুর কান্ট্রি ফিসিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক জানান, আমরা আড়ৎদার ও বিভিন্ন এনজি থেকে লোন নিয়ে জাল নৌকা মেরামত, অংশীদার জেলেদের অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকি। এ ছাড়া অনেক অংশীদার জেলে সাংসারিক প্রয়োজনে লোন নিয়ে থাকে। অভয়াশ্রমের সময় কিস্তির টাকা পরিশোধে তারা চরম বেকায়দায় পড়ে। এ ছাড়া বরাদ্দ না আসায় জেলার চার হাজার নিবন্ধিত জেলে চাল পায়নি। তিনি চাল সহায়তা বঞ্চিত নিবন্ধিত চার হাজার জেলের জন্য দ্রুত সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান। পাশাপাশি অভয়াশ্রমের সময় কিস্তি আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  জেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি ও জেলা প্রশাকের নিকট দাবি জানান।

চাঁদপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদী অঞ্চলে অভয়াশ্রমে কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্সের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমাদের জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও মৎস্য বিভাগ দুই মাস নিয়মিত নদীতে অভিযান পরিচালনা করবে। আশা করি জেলেরা জাটকা নিজেদের সম্পদ বিবেচনা করে আহরণ থেকে বিরত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর