রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৯৯ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ব্যাপক উন্নয়নের পরও যারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে—এমন লোকজনের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের সচেতন হতে হবে, অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্বকালে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণে এসব কথা বলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের যখন উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়নের চাকা ঘুরছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। অযথা, অহেতুক দেশের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করে, এমনকি আমরা উন্নয়নশীল দেশ কেন হলাম এটাও সঠিক না বলে অপপ্রচার! আমাদের দেশের কিছু মানুষ তারা অপপ্রচার করে। কিছু মানুষ মিটিং করছে—কী করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়-এরা তাহলে কারা? এদের উদ্দেশ্য কী? এরা কী চায়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি মনে করি আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির প্রত্যেকটি সদস্য তাদের এ বিষয়গুলোর বিষয়ে সচেতন হতে হবে, জানতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। যা যা প্রয়োজন করতে হবে। জনগণের শক্তিই আওয়ামী লীগের শক্তি। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ কিন্তু আমাদের সঙ্গে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে? পলাতক আসামি যে দল চালায় জনগণ তাদের কী আশায় ভোট দেবে? এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম আয়েশে আছে। তাদের এই আয়ের উৎস কী?’

প্রধানমন্ত্রী দেশের সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী মহলের সমালোচনা করে বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধকারীকেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও তারা দুর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের জন্যই তারা মায়াকান্না করছে।

 শেখ হাসিনা বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা এবং মসজিদ থেকে কোরআন শরীফ নিয়ে হনুমানের পায়ের ওপর রেখে হনুমানের গদাটা নিয়ে হেঁটে চলে গেল। একজন মুসলমান হয়ে এ কোরআন শরীফের অবমাননা কীভাবে করে? তিনি বলেন, যে কোরআন শরীফটা নিয়ে মন্দিরে রেখেছে, হনুমানের পায়ের ওপর রেখেছে সেকি কম দোষী। সেই তো কোরআন শরীফের অবমাননা করেছে? সেটাই তো বড় কথা। আর সেটা নিয়ে একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। যাক সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এ ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীরা যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। এর পেছনে কারা? সেটাও কিন্তু তদন্ত করে বের হয়েছে, যেহেতু মামলা চলছে সেজন্য হয়তো সব বলবো না, আমরা কিন্তু সেই তথ্য জানি।

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু দেখলাম তাদের মিটিং বসছে এখন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তো আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে? বাংলাদেশের মানুষ এখন দুই বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে? এখন আর ক্ষুধার্ত-শুকনো মানুষগুলোকে দেখিয়ে দেখিয়ে বিদেশ থেকে পয়সা কামাই করতে পারছে না? এটাই তাদের দুঃখ?

নিজে সব সময় খালেদা জিয়ার টার্গেটে ছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন যে খালেদা জিয়ার বক্তব্যই ছিল… সব সময় টার্গেট আমি, আমার বিষয়ে বলেছিল শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলের নেতাও কোনো দিন হতে পারবে না। তারপরই কিন্তু বোমা পোতা হলো। এর পরবর্তীতে তার বক্তব্য আওয়ামী লীগ শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এরপরই কিন্তু গ্রেনেড হামলা। আমার মনে হয় এ কথাগুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর