বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন

অতীতের বীরত্বগাথা স্মরণ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়: তথ্যমন্ত্রী

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৩৬০ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে অতীতের বীরত্বগাথা স্মরণ করতে হয়। বীরদের সম্মান জানাতে হয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানী শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আয়োজিত স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন ধারণকৃত দুর্লভচিত্রের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী ‘বাঙালির বীরত্বের চিত্রগাথা’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে রিয়ার অ্যাডমিরাল এম লোকমানুর রহমান, রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব-উল-ইসলাম, মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, এয়ার কমডোর রিয়াদাত হোসেন, উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম আলী আশরাফ বীর প্রতীক। আরও অংশ নেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিরা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাঁচ হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। এর আগে বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। ১৭৮৬ সালে ফকির মজনু শাহ বিদ্রোহ করে, ১৮৩১ সালে তিতুমীর বাঁশের কেল্লা তৈরি করে, ১৯৩০ সালে সূর্যসেন চট্টগ্রাম কারাগার লুন্ঠন করে, ১৯৪৪ সালে নেতাজী সুভাষ বসু ‘তোমরা রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেবো’ বলে স্বাধীনতার স্বপ্ন এঁকেছিলেন, স্বাধীনতা আসেনি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এমনভাবে উদ্দীপ্ত করেছিলেন যে, দেশের তরে নিজপ্রাণ সঁপে দিয়ে বাঙালিরা যুদ্ধে গিয়েছিল, হাজারে নয়, লাখে লাখে মানুষ যুদ্ধে গিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত ‘বাঙালির বীরত্বের চিত্রগাথা’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা এ উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র অবলোকন করেন ও চিত্রপ্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

নোনাজলের কাব্য চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে তথ্যমন্ত্রী

এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীতে এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সে বাংলাদেশ-ফ্রান্স যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত নোনাজলের কাব্য চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো’তে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় মন্ত্রী দেশের লোকজ সংস্কৃতি ও ভাবধারা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এর পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের প্রশংসা করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে সূত্রপাত ঘটা চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সিনেমাটির অভিনয় শিল্পী তিতাস জিয়া, ফজলুর রহমান বাবু, তাসনুভা তামান্না, শতাব্দী ওয়াদুদ, অশোক ব্যাপারীসহ সব কলাকুশলীকে অভিনন্দন জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর