শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন

অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই ও রানার

ভয়েস বাংলা রিপোর্ট / ৩২ বার
আপডেট : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অটোমোবাইল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি।

বুধবার আগারগাঁও এর আইসিটি টাওয়ারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’। এটুআই-আইল্যাব এর ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট তৌফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই-আইল্যাব এর হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল, এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এর উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।

স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায়, দেশে একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং নাগরিককেন্দ্রিক অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তোলার জন্য এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করবে এটুআই-রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। যেখানে এটুআই বিশ্বের বিকাশমান প্রযুক্তির আলোকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার মূল্যায়ন করে দেশের অটোমোবাইল খাতের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করবে।

অন্যদিকে, এসব গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্যের ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে রানার। যার মাধ্যমে দেশের সরকারি-বেসরকারিভাবে অটোমোবাইলস খাতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ততায় ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বাজারের চাহিদার আলোকে বৈদ্যুতিক যানবাহনসহ উন্নত প্রযুক্তির ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচলন সম্ভব হবে। এছাড়াও সমঝোতা স্মারকের সফল বাস্তবায়নের জন্য এটুআই-আইল্যাব ও রানার উভয়ই একজন করে ফোকাল মনোনিত করবেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদেরকে আইডিয়েশন থেকে বাণিজ্যিকীকরণের দিকে যেতে হবে। এ রুপান্তরের সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণে এটুআই-এর ইনোভেশন ল্যাব এর মাধ্যমে দেশের উদ্ভাবক ও গবেষকদের মেধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকেও সহায়তা প্রদান করা হবে। সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলতে বৈদুত্যিক যানবাহনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইসিটিকে ২০২২ সালের প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন।

দেশের অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেক আলাদা আলাদা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র না করে এটুআই-ল্যাবের মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে আরঅ্যান্ডডি করে খুব সহজে ও কম খরচে এই খাতে জড়িত দেশের অন্য বেসরকারি খাত ও অটোমোবাইলস কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে। এভাবে দেশের স্বল্প সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অটোমোবাইলস শিল্পকে আরো বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তুলার সম্ভাবনা তৈরি হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর