লোকজ সংস্কৃতি আমাদের মূল্যবান সম্পদ: মোস্তাফা জব্বার

ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন লোকজ সংস্কৃতি আমাদের অতি মূল্যবান সম্পদ। ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ পৃথিবীতে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে।পূর্ব বাংলার লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে দীনেশ চন্দ্র সেনের অন্যান্য খণ্ডগুলো পুনঃপ্রকাশ করা প্রয়োজন।
শনিবার (৩১ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
দেশের লোকজ সংস্কৃতির বিকাশে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের দেশে, বিশেষ করে ময়মনসিংহের নিজস্ব সংস্কৃতি, পালা গান, লোকগাঁথা খুবই সমৃদ্ধ। এগুলোকে সংকলিত করতে পারলে সেটি সমৃদ্ধ লোকজ সম্পদ হতে পারে। এছাড়া বৃহত্তর ময়মনসিংহের লোকজ সংস্কৃতি বিশেষ করে মহুয়া-মলুয়া কিংবা ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ আমাদের আরও বেশি করে সামনে আনা প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ময়মনসিংহের সংস্কৃতির বিকাশে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম তাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে সংগঠনটিকে জাতীয় সংগঠনে রূপ দিয়েছে। রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পী-সাহিত্যিক, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা এই সংগঠনে জড়িত থেকে সংগঠনকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী। পেশকৃত রিপোর্টগুলো সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফোরামের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ঢাকার সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের সিইও ড. মো. জাফর উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মনসুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহের পদস্থ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার শতাধিক প্রতিনিধি অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।