শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতা শুরুর আগেই শুটিং শেষ দীঘির মেট্রোরেলে নাশকতা: ডিইউজে একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬ জন রিমান্ডে প্যারিস অলিম্পিক যেন বিশ্ব ক্রীড়াবিদদের মিলনমেলা আন্দোলনকারীদের যেসব দাবি-দাওয়া লিখে দিয়েছিলেন নুর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানার বিরোধিতা প্রত্যাহার যুক্তরাজ্যের তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিটিভি ভবনে তাণ্ডবের চিহ্ন ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামাত শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে: কাদের বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ভারত বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান ইউক্রেনের ম্রিয়া ধ্বংস্

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ২১৪ বার
আপডেট : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে একটি কৌশলগত বিমান ঘাঁটিতে রবিবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ইউক্রেনের তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান অ্যান্টোনভ-২২৫ ম্রিয়া পুড়ে গেছে। দেশটি বলছে, কিয়েভের কাছে হোস্টোমেলের আন্তোনোভ বিমান ঘাঁটিতে রুশ দখলদাররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

৮৪ মিটার (২৭৬ ফুট) দীর্ঘ এই বিমানটি ঘণ্টায় ৮৫০ কিলোমিটার গতিতে ২৫০ টন কার্গো পরিবহন করতে সক্ষম ছিল। বিমানটির আনুষ্ঠানিক নাম অ্যান্টোনভ-২২৫ ম্রিয়া। ইউক্রেনীয় ভাষায় এই ম্রিয়া শব্দটির অর্থ হলে স্বপ্ন। রুশ হামলায় উড়োজাহাজটি আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, এটা বিশ্বের বৃহত্তম বিমান। ম্রিয়া মানে হলো ইউক্রেনের ভাষায় স্বপ্ন। রাশিয়া হয়তো আমাদের ম্রিয়াকে চুরমার করে দিয়েছে। কিন্তু ওরা কখনও আমাদের স্বপ্নকে নষ্ট করতে পারবে না। একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক এবং শক্তিশালী ইউরোপিয়ান দেশের স্বপ্ন আমাদের। আমরা ফের ঘুরে দাঁড়াবো।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারক ইউক্রবোরনপ্রম জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম এই কার্গো বিমানটি পুনর্নিমাণে তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ খরচ হবে। আর এতে সময় লাগবে পাঁচ বছরেরও বেশি। আর খরচের অংকটা রাশিয়ার কাছ থেকেই তুলতে চায় কিয়েভ। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, যেখানে বিমানটি পার্ক করা ছিল সেই জায়গাটি এখন ধ্বংস্তূপে রূপ নিয়েছে।

১৯৮৮ সালে সোভিয়েত আমলে এটির ডিজাইন করা হয়েছিল। ওই বছর প্রাথমিকভাবে সোভিয়েত অ্যারোনটিক্যাল প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে নির্মিত বিমানটি প্রথম কোনও ফ্লাইট পরিচালনা করে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দীর্ঘদিন এটি ব্যবহৃত হয়নি। পরে ২০০১ সালে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। এরপর বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে এটি। বিভিন্ন সময়ে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ত্রাণ সরবরাহ করেছে। করোনা মহামারির সময় নানা দেশে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয় এটির মাধ্যমে। সূত্র: এনডিটিভি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর