শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতা শুরুর আগেই শুটিং শেষ দীঘির মেট্রোরেলে নাশকতা: ডিইউজে একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬ জন রিমান্ডে প্যারিস অলিম্পিক যেন বিশ্ব ক্রীড়াবিদদের মিলনমেলা আন্দোলনকারীদের যেসব দাবি-দাওয়া লিখে দিয়েছিলেন নুর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানার বিরোধিতা প্রত্যাহার যুক্তরাজ্যের তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিটিভি ভবনে তাণ্ডবের চিহ্ন ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামাত শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে: কাদের বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ভারত বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

না ফেরার দেশে বাংলাদেশের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১৩১ বার
আপডেট : বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান তারিকুজ্জামান মুনির মারা গেছেন। আজ (বুধবার) স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে মেহরাবকে নিয়ে সিলেটে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছাকাছি পৌঁছাতেই হঠাৎ বুক ব্যথা ওঠে। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৬৩ বছর বয়সে ওপারে পাড়ি জমালেন তারিকুজ্জামান।

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জোহরের পর মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার পল্লীমা সংসদের মাঠে জানাজার পর জুরাইন গোরস্থানে তার দাফনকাজ সম্পন্ন হবে। তারিকুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আরও শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ও  আবাহনী লিমিটেড।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন তারিকুজ্জামান। সুস্থ হয়ে ৮-১০ মাস পর কর্মজীবনেও ফিরে গিয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে বিসিবির লজিস্টিকস ও প্রটোকল কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুনির। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমের উইলস কাপ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ৩০৮ রানের ইনিংস খেলেন তারিকুজ্জামান। ইনিংসটিতে ছিল ৩২টি চারের মার। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার ছিলেন চৌকস এক ফিল্ডারও।

১৯৮৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে অবশ্য ক্লাব ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল তার। ইগলেটসের হয়ে খেলা শুরু করা তারিকুজ্জামান আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, জিএমসিসির হয়ে খেলেছেন। পেশাদারি ক্রিকেট খেলেছেন ১৯৯০-৯১ মৌসুম পর্যন্ত। তার বড় ভাই আসাদুজ্জামান মিশাও খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে।

২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির (এলওসি) টুর্নামেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারিকুজ্জামান। অবসরের পর এশিয়াটিক, পারটেক্স গ্রুপ, বার্জার, আনোয়ার গ্রুপ, এলিট পেইন্টসহ বিভিন্ন প্রসিদ্ধ করপোরেট হাউজের উচ্চ পদে কাজ করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর