শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতা শুরুর আগেই শুটিং শেষ দীঘির মেট্রোরেলে নাশকতা: ডিইউজে একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬ জন রিমান্ডে প্যারিস অলিম্পিক যেন বিশ্ব ক্রীড়াবিদদের মিলনমেলা আন্দোলনকারীদের যেসব দাবি-দাওয়া লিখে দিয়েছিলেন নুর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানার বিরোধিতা প্রত্যাহার যুক্তরাজ্যের তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিটিভি ভবনে তাণ্ডবের চিহ্ন ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামাত শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে: কাদের বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ভারত বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নদীর প্রস্থ কমিয়ে বাড়ানো হবে কৃষি জমি

রিপোর্টার / ১৫০ বার
আপডেট : শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

দেশের বড় নদীগুলোর প্রস্থ কমিয়ে কৃষি জমি বাড়ানো ও বনায়নের কথা ভাবছে সরকার। দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো দিয়ে এমন প্রকল্প শুরু করার কথা রয়েছে। তবে এসব নদীর তীরে কোনও বসতি গড়তে দেওয়া হবে না বলেও জানা গেছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, বড় নদী বিশেষ কাজে আসছে না। এগুলোর প্রস্থ কমিয়ে ড্রেজিং করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব। এতে নদীতে পলি জমার সুযোগ থাকবে না। স্রোতে সব পলি সাগরে গিয়ে পড়বে।

মূলত বন্যা হলে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেখতে পেয়েছে, উত্তরাঞ্চলের নদীর গভীরতা কম। যার কারণে পাহাড় ও ভারত থেকে আসা ঢল দেশের নদীগুলোতে উপচে পড়ে। স্রোত না থাকায় পানি গিয়ে বঙ্গোপসাগরেও পড়তে পারে না। যার কারণে দেখা দেয় বন্যা। প্লাবিত হয় তীরবর্তী এলাকাগুলো।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৩-১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত নদীর দরকার নেই আমাদের। প্রশস্ততা কমিয়ে ৫-৭ কিলোমিটারে নিয়ে আসবো। অপরদিকে ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানো হবে। ওই মাটি ফেলা হবে নদীর পাড়ে। যা ব্যবহার হবে কৃষি জমি হিসেবে। এ নিয়ে গবেষণা চলছে। নদীর প্রবাহ ও পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ার জন্য যে ধরনের গভীরতা ও স্রোত দরকার সেটাই রাখার চেষ্টা করা হবে।’

নদীর প্রস্থ কমিয়ে যে সমতল ভূমি হবে সেখানে বসতি গড়তে দেওয়া হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নদীর এত কাছে বসতি স্থাপন করা ঠিক নয়। একটু বন্যা হলেই বাড়িঘর তলিয়ে যায়। এজন্য প্রকল্পের কোথাও বাড়িঘর করতে দেবো না। সব কৃষি জমি হবে।’

সরকারপ্রধান নীতিগতভাবে এই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছেন। এখন প্রকল্পটির নকশা ও বাজেট নিয়ে গবেষণা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

২০১৮-১৯ সালের দিকে ব্রহ্মপুত্রকে ঘিরে প্রথম এমন একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কুড়িগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ড্রেজিং চলছে। ব্রহ্মপুত্রের কোথাও ১৫-১৬ কিলোমিটার প্রশস্ত। এটাকেও কমিয়ে ৫-৭ কিলোমিটারে আনা হবে। এরপর তিস্তা নিয়ে কাজ শুরু হবে।

নদী, জলাভূমি ও পানিসম্পদ বিষয়ক নাগরিক সংগঠন রিভারাইন পিপলের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব শেখ রোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক নদীর প্রবাহ ঠিক না থাকায় ভাঙন হচ্ছে বেশি। মানুষ বসতি ও কৃষি জমি হারাচ্ছে। সরকার চাচ্ছে নদীগর্ভ থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করতে। এটা বিশাল কর্মযজ্ঞ।’

/এফএ/এনএইচ/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর