কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মে জড়িতরা অবসরে গেলেও ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য দায়ী ও যারা অনিয়ম করেছে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। জড়িতদের মধ্যে যারা অবসরে গেছেন, প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
একনেকে বহুল আলোচিত কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে সংশোধনী প্রস্তাবটি একনেকে উপস্থাপন করা হলেও অনুমোদন দেননি প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। দীর্ঘ তদন্তের পর চলতি বৈঠকে সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর আগে ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালের ৬ মার্চ কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়। এরপর ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রথম দফায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ও দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। পরে ব্যয় বাড়িয়ে ৬১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়ন মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এতেও শেষ হয়নি কাজ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের কাজ শেষ করতে চূড়ান্তভাবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। যারা এই প্রকল্প বিলম্বের ক্ষেত্রে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সময়ের মধ্যে চলমান কাজ শেষ করতে বলেছেন।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু কারখানার ভেতরে করলে চলবে না। কারখানা এলাকায় ইটিপি স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনও প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা না পেলে রিজার্ভ থেকেও ঋণ নেওয়া যেতে পারে। তবে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে রিজার্ভ থেকে। এছাড়া, দেশের সব এলাকায় সমানভাবে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। যাতে কোনও এলাকা অবহেলিত না হয়। প্রধানমন্ত্রী নদী, খাল নিয়মিত ড্রেজিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান।