শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অভিনয়শিল্পী সংঘের অন্তর্বর্তী প্রধান তারিক আনাম খান নতুন পথে বাংলাদেশ, সংস্কারে দীর্ঘ পথ: দ্য গার্ডিয়ান সব স্থানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হয়নি: মির্জা ফখরুল সংস্কার কমিশনগুলোর কাজ শুরু অক্টোবরে, রিপোর্ট ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা নয়: আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার ভারতে থাকা উচিত: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এস আলম গ্রুপের তথ্য চেয়ে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার চিঠি অশ্বিন-জাদেজার ব্যাটে চালকের আসনে ভারত সংস্কার কমিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় প্রেসক্লাবে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের মাধ্যমে সদস্য পদ দেয়া হয়েছে: শওকত মাহমুদ

কৃষিঋণের টার্গেট এবার ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ২১৪ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কোভিড মহামারি এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষির গুরুত্ব অধিকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।

এছাড়া, টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রথম ও প্রধান তিনটি লক্ষ্য তথা দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি এবং সুস্বাস্থ্য  নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে পল্লী অঞ্চলে কৃষি ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য  ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের জন্য ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত অর্থবছরে ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন ঋণগ্রহীতা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন, যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৭,৯৭,০৫২ জন নারী ১০,৮২৯.৩৯ কোটি টাকা

কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন। ওই অর্থবছরে ২৪,৯৯,৯৪৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২০,১৮২.৩০ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৪,০৭৩ জন কৃষক ১৯.৫৯ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ পেয়েছেন।

পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং কৃষকদের কাছে কৃষি ঋণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশ কিছু সময়োপযোগী  বিষয় সংযোজিত হয়েছে। এ নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজিত বিষয়গুলো হচ্ছে—

১.প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় হাঁস পালনের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন।

২. চিয়া বীজ, ত্বিন ফল, সুগার বিট চাষের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন।

৩. ভিয়েতনামী হাইব্রিড নারিকেল, কফি ও সুইট কর্ন চাষের ঋণ নিয়মাচার সংযোজন।

৪. সামুদ্রিক ক্সশবাল চাষের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন।

৫. মৎস্য খাতের আওতায় গলদা চিংড়ি চাষের ঋণ নিয়মাচার সংযোজন।

৬. সহজে অধিক সংখ্যক কৃষককে কৃষি ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দলবদ্ধভাবে কৃষি ঋণ বিতরণের পদ্ধতি  সংযোজন।

৭. একর প্রতি ফসল উৎপাদনের ঋণ নিয়মাচার বৃদ্ধি করা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর