ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ‘ই-নামজারি সিস্টেমে নামজারি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে নির্দেশনা’ শীর্ষক পরিপত্রে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ই-নামজারি সিস্টেমে ক্রয়সূত্রে নামজারি ফরম চালু করা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়, ডিজিটাল ভূমিসেবা সিস্টেমে (ই-নামজারি/ ই-খতিয়ান/ ডিজিটাল এলডি ট্যাক্স) কিংবা ভূমি অফিসে সংরক্ষিত নেই- এমন কোনও তথ্যের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন না-মঞ্জুর করা যাবে না। নামজারি মামলার প্রথম আদেশে কোনো দলিলপত্রের ঘাটতি থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দাখিলের জন্য অনুরো জানাতে হবে। সাধারণভাবে সাত কার্যদিবস কিংবা আবেদন বিবেচনা করে যুক্তিসংগত সময় দেওয়া যাবে।

আবেদনপত্র সম্পূর্ণ তামাদি না করার বিষয়ে পরিপত্রে আরও জানানো হয়, উক্ত সময়ের (১ম আদেশে প্রদত্ত সময়) মধ্যে নামজারির আবেদনকারী তথ্য বা কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হলে আদেশে না-মঞ্জুর করা যাবে। তবে আবেদনকারী তথ্য বা দলিলপত্র দিলে আবারও নামজারি কার্যক্রম চালু করতে হবে (নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নাই)। এক্ষেত্রে আবেদন পুনরায় কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে নামজারি সেবা প্রাপ্তির সময় গণনা শুরু হবে।

এছাড়া নামজারি আবেদনের হার্ড কপি জমা না দেওয়া, দলিলের নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের পার্থক্য থাকা, মোবাইল ফোন নম্বর সঠিক প্রদান না করা, জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা, জমির শ্রেণির বিষয়ে সর্বশেষ রেকর্ড ও দলিলে ভিন্নভাবে উল্লেখ থাকাসহ আরও বিভিন্ন কারণে নামজারি বাতিল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

গ্রাহক যাতে সময় ও সুযোগ পান, এমনকি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকল্প করণীয় সম্পর্কে জানতে পারেন, সেজন্য এসব কারণ উল্লেখ করে সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) করণীয় সম্পর্কে পরিপত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ই-নামজারি আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র যাচাই করে সঠিক প্রতীয়মান হলে পক্ষগণের প্রাথমিক শুনানি না নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ই-নামজারি আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিল কোনো বিষয় না থাকলে অনলাইনে শুনানি নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এতে ভূমিসেবা পেতে গ্রাহককে ভূমি অফিসে যেতে হবে না। এতে অনেকের মূল্যবান সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে।