নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদে ২১ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই একই সুবিধা ভোগ করেন।’
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাসের নেতৃত্বে বিভিন্ন মিশনের নারীপ্রধানেরা তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সংসদীয় কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ড্রা বার্গ ভন লিন্ডে, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাজনা বিনতি মো. হাসিম, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতোমোর এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নারী মেম্বার এবং উপজেলা পর্যায়ে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি সংরক্ষিত রেখেছেন, যা তৃণমূল নারী নেতৃত্বকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে মাইলফলক।
শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশে অতি দরিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশ নেমে এসেছে। তবে অতি দরিদ্রের অধিকাংশ হচ্ছে নারী। তিনি বলেন, শি পাওয়ার প্রজেক্ট’-এর মাধ্যমে নারীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক, স্বামী নিগৃহীতা, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদান করছে। এছাড়াও সেলাই ও আইসিটি বিষয়ে ট্রেনিং প্রদান, চাকরিতে নারী কোটা সংরক্ষণ, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, মায়েদের মোবাইলে মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি প্রেরণসহ অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলাদেশ আজ নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল।
বাংলাদেশের নারী উন্নয়নকে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান। নারীর পরিপূর্ণ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ বছর আগে সংবিধানে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করায় বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা। এ সময় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন।