প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার ১৩২ রান তাড়ায় বাংলাদেশের স্পিনেই নাস্তানাবুদ হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন নাসুম আহমেদ। দারুণ বোলিং করেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসানও।
মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে স্পিনের সামনে অসহায় ছিলেন মিচেল মার্শ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানরা। এমনকি দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামও চার উইকেট নেন মূলত স্লোয়ার-কাটার মিলিয়ে।
প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে হারার পর অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক সামনে তাকিয়ে খুঁজলেন স্পিন চ্যালেঞ্জ জয়ের পথ।
“আমাদের সাহসী হতে হবে এবং পরিকল্পনায় অটুট থাকতে হবে। নিজের মতো করে খেলার সাহস রাখতে হবে। তবে ছোট স্কোর তাড়া করার সময় সাহসী হওয়া ও স্মার্ট হওয়ার মধ্যে একটু পার্থক্য আছে।”
“ছেলেরা এখানে খুব বেশি খেলেনি। উইকেটে গিয়ে ১০-১৫ বল কাটানো জরুরি এবং সামনে এগোনোর পথে গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ও পাঁচ ম্যাচের সিরিজে খোলসে ঢুকে যাওয়া চলবে না। পরের ম্যাচে এবং পরেও একই বোলারদের খেলতে। একটা উপায় বের করতে হবে, যা কাজে দেয়।”
মিরপুরের উইকেটের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, মাঝেমধ্যে টার্ন করলেও অনেক সময়ই বল পিচ করে সোজা চলে আসে। ব্যাটসম্যানরা তাই সংশয়ে থাকেন প্রচণ্ড। এই উইকেটে টার্নিং ডেলিভারির চেয়ে সোজা বল অনেক সময় বেশি বিপজ্জনক।
“এই দেশে এটাই চ্যালেঞ্জ, শুরুর দিকে বল স্কিড করে এবং প্যাডে ছোবল দেয়, আর মাঝেমধ্যে কিছু টার্ন করে। এই ম্যাচে সম্ভবত পরের দিকের চেয়ে আগেই টার্ন বেশি করেছে।”
“অবশ্যই এটা চ্যালেঞ্জের এবং পরের ম্যাচে আমাদের জবাব দিতে হবে। আশা করি সামান্য যে সময়টুকু উইকেটে কাটানো গেছে (প্রথম ম্যাচে), সেখান থেকেই বুঝে নিয়ে রান করার পথ খুঁজে নেবে সবাই।”
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি বুধবারই, খেলা শুরু যথারীতি সন্ধ্যা ৬টায়।