আমার আইভীর খবর কী, জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, আমি যখন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে, তখন নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আমার আইভীর কী খবর?’ সুতরাং বুঝতেই পারছেন, নির্বাচন নিয়ে কারও মনে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইভীকে শেখ হাসিনার প্রার্থী বলে উল্লেখ করেন।বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আ. লীগের কার্যালয়ে এক সভায় জাহাঙ্গীর কবীর নানক এসব কথা বলেন। এ সভায় বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ আর সাতজন কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাড. খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রায় ৬০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে নানক বলেন, আমরা এখানে এসেছি নেত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে। এ নির্বাচনটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে একজনও ছাড় পাবেন না। কী হচ্ছে, তার সব খবরই কিন্তু নেত্রীর কাছে রয়েছে। সুতরাং এখনও সময় আছে, সব বাজে চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করুন।
নানক বলেন, আমি জাহাঙ্গীর কবীর নানকও কিন্তু অপরিহার্য নই। সুতরাং এত অহঙ্কার দেখাবেন না। মনে রাখবেন, অহঙ্কার পতনের মূল। সব খবরই নেত্রী রাখেন। তিনি স্নেহ করেন বলেই আমরা এ পর্যায়ে এসেছি। কিন্তু তিনি যখন কঠোর হোন, তখন তিনি কাউকেই ছাড় দেন না। সুতরাং এ নির্বাচনে যদি আপনারা কেউ কোনো কারসাজি করার চিন্তাও করে থাকেন, সেখান থেকে সরে আসুন। কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আইভী একজন পরিচ্ছন্ন নেত্রী। সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছেই তার অসম্ভব গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সবাই তাকে ভালো জানেন। একমাত্র আপনারাই বলেন, ‘আইভী ভালো না’। এর পেছনে কী কারণ, তা কিন্তু নেত্রী জানেন। সুতরাং নিজেকে অপরিহার্য মনে করে এত অহংকার দেখাবেন না।