রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

ভারতে বন্ধ দেশের ৬ টিভির ইউটিউব চ্যানেল, পদক্ষেপ নেবেন বিশেষ সহকারী

রিপোর্টার / ৩ বার
আপডেট : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যেই বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। অর্থাৎ ভারতে এসব টিভির ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি অবগত হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পেলে পালটা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শুক্রবার (৯ মে) রাতে বাংলাদেশের চারটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করে দেওয়ার খবর জানা যায়। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর নাগাদ জানা যায়, এ সংখ্যা ছয়।

ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাই উদ্যোগ ডিসমিস ল্যাব শুক্রবার জানায়, যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার ভারত থেকে বন্ধ করেছে ইউটিউব। শনিবার ডিসমিস ল্যাবের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকায় রয়েছে সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলও।

অপারেশন বানিয়ান-উন-মারসুস— পাকিস্তানের বেছে নেওয়া এ নামের অর্থ কী

ডিসমিস ল্যাব বলছে, এই ছয়টি টিভি চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেলে মোট সাবস্ক্রাইবার পাঁচ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি। সবগুলো ইউটিউব চ্যানেলই ভেরিফায়েড।

জানা গেছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে ভারত সরকারের অনুরোধের পর ভারতে ইউটিউব চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধের পদক্ষেপ নেয় ইউটিউব। ভারতে অবস্থারত কেউ এসব ইউটিউব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে লেখা আসছে— ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এ দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’

বিষয়টি অবগত হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন।

পাকিস্তানি হামলা ‘সরাসরি উসকানি’: ভারতীয় সেনাবাহিনী

ওই পোস্টে ফয়েজ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তত চারটি টিভি (শনিবারের হিসাবে ছয়টি) স্টেশন জিও ব্লক করেছে ইউটিউব ভারত। ব্রডকাস্ট মিডিয়ামের ভৌগোলিক লোকেশন হিসেবে বাংলাদেশকে ব্লক করায় ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যারা এসব চ্যানেল নিয়মিত দেখেন তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও লিখেছেন, ‘এমন কাজ কনজ্যুমার রাইটসের (ভোক্তা অধিকার) আন্তর্জাতিক নীতিবিরুদ্ধ বলেই প্রতীয়মান। আমরা ইউটিউবের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব। সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পেলে আমরা পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’

ফয়েজ আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, ইউটিউব যদি বন্ধের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারে তাহলে ধরে নিতে হবে এটি ভারতের রাজনৈতিক পদক্ষেপ। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশও একই পদক্ষেপ নেবে। কারণ বাংলাদেশ এসবের মধ্যে জড়াতে চায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর