ফের রিমান্ডে সালমান-আনিসুল-মামুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক তিন হত্যা মামলায় সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার ও গ্রেপ্তার দেখানোর পৃথক আবেদন করেন। এদিন শুনানি উপলক্ষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুর করার আবেদন জানান।
আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে আনিসুল ও সালমানের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক সালমান ও মামুনকে ৩ দিন, আনিসুলকে ২ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
সালমানকে রিমান্ডে নেওয়ার মামলায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত বছরের ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন বাঁশতলা এলাকায় গুলিতে আহত হন মনির হোসাইন। পরের দিন হাসপাতালে মারা যান তিনি। নিহতের ভাই পারভেজ ফরাজী বাদী হয়ে গত বছরের ২ অক্টোবর ভাটারা থানায় মামলা করেন।
আনিসুলের মামলায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আব্দুল জব্বার সুমন সন্ধ্যায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন। চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। গত ১৯ আগস্ট নিহতের মা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামুনের মামলায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় মো. রাসেল গুলিতে নিহত হন। পরে মামলা রজ্জু হয়।
এদিকে, ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ পাঁচ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।
অন্যরা হলেন শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নিয়াজ মোর্শেদ।
আদালত সূত্র জানায়, রাজধানীর কদমতলী থানার এক মামলায় মামুন, আনিসুল, সালমানকে, যাত্রাবাড়ী থানার চার মামলায় সালমানকে, যাত্রাবাড়ী থানার ছয় মামলায় আনিসুলকে, যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ মামলায় মামুনকে, বাড্ডা থানার এক মামলায় আতিকুল ও নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে নিয়াজ মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
তবে, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আদালতে আনা হলেও কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয়নি।