শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুক্তি পেল চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী এস আলমের আরও ৯ হাজার কাঠা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধীরগতি, নতুন করে ‘অতি দরিদ্র’ হবে ৩০ লাখ মানুষ ভারতের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা এবার পাকিস্তানিদের সব ধরনের ভিসা স্থগিত করল ভারত কাশ্মিরে হামলার জের, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সিদ্ধান্ত ভারতের অবশেষে পদত্যাগ করলেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা দেবে কাতার ফাউন্ডেশন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান

কাশ্মিরে হামলার জের, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সিদ্ধান্ত ভারতের

রিপোর্টার / ১ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

ভারতশাসিত জম্মু কাশ্মিরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ করছে ভারত। দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদী বিভিন্ন হামলায় সমর্থন দেওয়া হয়ে থাকে। পহেলগামে হামলার পরদিনও সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রবেশের চেষ্টা করেছে বলে তথ্য দিয়েছেন তারা।

এ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। নয়াদিল্লি বিমানবন্দরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় বসেন কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির (সিসিএস) বৈঠকে। সে বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটির ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলায় সীমান্তের ওপারের যোগসাজশ তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে সাফল্যের সঙ্গে নির্বাচন হওয়ার পরই এই আক্রমণ হলো। এমন এক সময়ে এই হামলা হলো যখন সেখানে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

কাশ্মির হামলা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সিদ্ধান্ত

বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠক থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেওয়া পাঁচ সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী হামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে—

১৯৬০ সালের সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি অবিলম্বে স্থগিত করা হচ্ছে, যতক্ষণ না পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং পাকাপাকিভাবে সীমান্তপারের সন্ত্রাসের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে;(পাঞ্জাবে অবস্থিত) সমন্বিত আটারি চেকপোস্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই পথ দিয়ে যারা বৈধভাবে পারাপার করেছেন তারা ১ মের আগেই ফিরতে পারবেন;সার্ক দেশগুলোর জন্য ‘বিনা ভিসা প্রকল্পে’র অধীন বিশেষ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানের নাগরিকরা আর ভারতে ভ্রমণ করতে পারবেন না। যে পাকিস্তানি নাগরিকদের আগেই ওই ভিসা দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হলো। ওই বিশেষ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে পাকিস্তানের যেসব নাগরিক ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে;দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে দেশটির প্রতিরক্ষা, সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর যে ‘পরামর্শদাতা’রা রয়েছেন, তাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করছে ভারত। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। ভারতও ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস থেকে সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর পরামর্শদাতাদের ফিরিয়ে আনবে। দুই দেশের দূতাবাসগুলোতে এই পদগুলো বিলুপ্ত করা হলো। দুই দেশের দূতাবাসেরই সামরিক পরামর্শদাতাদের পাঁচজন করে কর্মীকেও নিজের দেশে চলে যেতে হবে; এবংদুই দেশের রাজধানীতে অবস্থিত কর্মী সংখ্যা বর্তমানের ৫৫ থেকে কমিয়ে ১ মের মধ্যে ৩০-এ নিয়ে আসতে হবে।

কাশ্মীরের হামলায় ‘বেছে বেছে পুরুষদের গুলি চালানো হচ্ছিল’

এই পাঁচটি সিদ্ধান্তের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সিন্ধু জলচুক্তিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর আগে কখনো যুদ্ধের সময়ও এই চুক্তি রদ করা হয়নি। এবার চুক্তিটি স্থগিত করায় সিন্ধুসহ পাঞ্জাবের নদীগুলোর পানি পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে যে চুক্তি হয়েছি্ল, তা কার্যকর হবে না। এই নদীর পানি না পেলে পাকিস্তান বিপাকে পড়বে। সিন্ধু ছাড়াও বিতস্তা, চন্দ্রভাগা, ঝিলম, শতদ্রু, ইরাবতী নদীর পানি পাকিস্তানে যায়।

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব বিবেক কাটজু ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যা প্রমাণ করবার চেষ্টা করছি, তা হলো— এই আক্রমণ ভারত বরদাশত করতে পারে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত আর কী ব্যবস্থা নেয়, তা দেখতে হবে। অতীতেও ভারত তা নিয়েছে। দেশের মানুষের মনোভাব পুরোপুরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলে গেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা এবার ভাবতে পারে ভারত।

হামলায় দায় স্বীকার নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’

পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পরই ভারত অভিযোগ করে, এর পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। বুধবারও পাকিস্তান থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’রা ভারতে ঢুকতে চেয়েছিল এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে দুই ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে ভারত জানিয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামক একটি সশস্ত্র সংগঠন এর পেছনে থাকতে পারে।

টিআরএফ পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন হিসেবে পরিচিত।

কাশ্মির হামলার জের ধরে বুধবার ভারতের অনেক স্থানে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

পহেলগাম হামলায় পাকিস্তানেও প্রতিক্রিয়া

পহেলগামের ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা নিন্দা জানানোর পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানও। দেশটির পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দেশটির গণমাধ্যমকে বলেন, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো সবই তাদের দেশীয় বিদ্রোহ। তাদের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। এক-দুটো নয়, নাগাল্যান্ড থেকে কাশ্মীর, দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও মণিপুরসহ কয়েক ডজন রাজ্যে বিদ্রোহ চলছে।

পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না জানিয়ে খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসে’র পক্ষে নেই। পাকিস্তান সবসময় যেকোনো ধরনের সন্ত্রান্সের বিরুদ্ধে।

কাশ্মিরের পহেলগামে হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে ভারতের যেকোনো ধরনের দুঃসাহসিক কাজ ব্যর্থ করতে পাকিস্তান সবভাবে প্রস্তুত। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে এবার পাকিস্তানের তরফে যথাযোগ্য জবাব দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট পহেলগামে পর্যটকদের একটি গ্রুপের ওপর বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এতে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন অনেকে।

পহেলগাম এলাকাটি ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত। হামলার ঘটনা ঘটেছে বাইসরনে। এটি পহেলগাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পর্বতের মাঝে একটি জায়গা।

জম্ম ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার যেসব ঘটনা সাম্প্রতিক ঘটেছে তার মধ্যেই এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।

[তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ডয়েচে ভেলে বাংলা, এএনআই, দ্য হিন্দু]


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর