টাঙ্গাইলে সাবেক এমপির বাড়ি দখল করা সেই সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাড়ি দখল করা সেই ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সাবেক এমপির স্ত্রী অবৈধভাবে বাড়ি দখল, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন।
এর আগে ওই বাড়ি দখলের ঘটনায় মিস্টিকে আটক করেছিল প্রশাসন। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বাড়িটি দখলমুক্ত করে মিস্টিকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
রোববার (৯ মার্চ) রাতে সাবেক ওই সংসদ সদস্যের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করলে রাত ১২টার দিকে ওই মামলায় মিস্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় মিষ্টিকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও সাত থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মারিয়াম মোকাদ্দেস মিস্টি বাসাইল উপজেলার জশিহাটী গ্রামের শাহ আলমাসের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ায় বসবাস করছেন।
সাবেক এমপির বাড়ি দখল করা সেই সমন্বয়ক মুচলেকায় মুক্ত
মামলায় সাবেক এমপির স্ত্রী রওশন আরা খান উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন শনিবার সকালে গেটের ছয়টি তালা ভেঙে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ১০ ভরি সোনার অলংকার চুরি করে নেওয়া হয়, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এগুলোর মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
এজাহারে বলা হয়েছে, মিস্টি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ওই বাড়িতে উঠে যান। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বলেন, ওই বাড়িতে থাকতে হলে চাঁদা দিতে হবে। নাইলে সাত দিনের মধ্যে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, মামলার পর শহরে অভিযান চালিয়ে মিস্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ওই ভবনে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পুনর্বাসন করবেন বলে ঘোষণা দেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে তা জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা জন্ম দেয়। পরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ভবনটি দখলমুক্ত করে। টাঙ্গাইল সদরের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। পরে রোববার রাত ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়।